সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সাধ জেগেছে

শিরোনাম       সাধ জেগেছে সাধ জেগেছে                                         আজিম আকাশ আমার বড় সাধ জেগেছে দীঘির জলে ভাসতে; জোছনা রাতে ঐ আকাশে চাঁদের মত হাসতে। আমার বড় সাধ জেগেছে ঘুড়ির মত উড়তে; হাজার রঙের স্বপ্ন নিয়ে হাওয়ার বেগে ঘুরতে। আমার বড় সাধ জেগেছে মেঘের ভেলায় চড়তে; দীন-দু:খীদের নিয়ে একটি তরুণ সমাজ গড়তে। আমার বড় সাধ জেগেছে কিশোর বেলায় ফিরতে; কাঁচা হাতের কাঁচা ছোঁয়ায় কিশোর কাব্য লিখতে।   কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

অ্যালেন গিন্সবার্গ-এর হাইকু

অ্যালেন গিন্সবার্গ অ্যালেন গিন্সবার্গ - এর হাইকু দাড়ি কামানো ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু যে - চোখ আমায় দেখছিল রয়ে গেছে আয়নায় পাগলটা সিনেমা - হল থেকে বেরোল লাঞ্চটাইমের পথ যুবকদের শহর তাদের গোরস্হানে আর এই শহরে পাশ ফিরে শূন্যতায় আমার নাকের শ্বাস পনেরো তলায় কুকুরটা হাড় চিবোচ্ছে রাস্তায় ট্যাক্সি থামল ছাদের ওপর চাঁদ বাগানে পোকার ঝাঁক এ - বাড়িটা ভাড়া নিয়েছি বারান্দায় হাফ প্যান্ট পরে যদিও বৃষ্টিতে

দুঃখিনী মা

শিরোনাম   দুঃখিনী  মা                                                আজিম আকাশ দুঃখিনী  মা ঐ যে দূরের রতনপুর ঐ আমাদের গাঁ; ঐ খানেতে ঘুমিয়ে আছে দুঃখিনী এক মা। ঐ গাঁয়েরই ছেলে আমি রতনপুরে বাস; ঐ গাঁয়েতেই সুখ-দুঃখে থাকি বারো মাস। ঐ গাঁয়েরই মেঠো পথে হাঁটি যখন একা; কবর খানির কাছে এলে বুকটা লাগে ফাঁকা। ঐ গাঁয়েতে মায়ের স্মৃতি বুকে মাখি আমি ; মায়ের চেয়ে এই ধরাতে নেইতো কিছু দামি। ( টঙ্গিবাড়ি, মুন্সীগঞ্জ ;  ০৩.০৯.১৪ইং ) কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

সাহসহীনতা (অনুবাদ )

সাহসহীনতা আজকাল প্রায়ই মনে হয়, কতটা সময় আমি হা্রাচ্ছি, বসে বসে, প্রতীক্ষায় থেকে, তুমি বদলাবে, এই আশায়! কখনো নিশ্চিত হতে পারিনা, বদলানো কার বেশী প্রয়োজন, তোমার, না আমার! চিরকাল ভেবে এসেছি, স্থাণুবৎ বসে থাকা, কোন সিদ্ধান্ত না নেয়াও বুঝি একটা সিদ্ধান্তেরই মতন। এখন আমি ভাবছি, এটা কি শক্তি্র অভাবে, নাকি সাহসের, যে আমি সেসব যন্ত্রনা মেনে নিতে পারবোনা, যেসব আসবেই, যদি আমি এখনই এগোতে চাই? ইস! যদি জানতাম! আসলেই কি এটা আমার চাওয়া ছিলো, নাকি এ চাওয়ার কারণ, কেবলই আমার সাহসহীনতা? মূলঃ Linda Engwall অনুবাদঃ খায়রুল আহসান  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

ভালোবাসায় প্রেম নেই

শিরোনাম  ভালোবাসায় প্রেম  নেই ভালোবাসায় প্রেম  নেই                                                           শ্যামল সোম আজ  আর কেউ ভালোবাসায় প্রেম খোঁজে  নাকো,  কিংবা কোন  কালেই ভালোবাসায় প্রেম ছিলো নাকো।   মুখে  মুখে শুধু বলে ভালোবাসি। সূর্যোস্তে গোধুলি আলোয় বিপাশার তীরে বসে মৃদু ভাসে  প্রেয়সীর কানে  কানে বলে, " নয়নিকা তোমায় ভালোবেসে ভিখারী হয়েছি আজ আমি; বাড়িয়ে  দেওয়া  দু-হাত ভরে দাও ভালোবাসার চির-চিহ্ন  তোমার রক্তিম  ঠোঁটের উ ষ্ণ চুম্বন, তীব্র দহন,  দংশনের ক্ষত, আমার উতপ্ত শরীর শীতল হোক, তোমার নগ্ন জ্যোতস্না প্লাবিত শরীরের ঘন আলিঙ্গণে। রাতের আকাশের ভীড়ে, শালিমার, নিশার বাগের উদ্যানে বা ঐ ভ্যালি অফ  ফ্লাওয়ার্স  এ ফুলেদের  মাঝে আমি  ঠিক  খুঁজে নেবো তোমায়। এই  বিপাশা নদীর সাঁতরিয়ে পার হয়ে  হর-কী- দুন  এর পথে চড়াই উতড়াই  ভেঙ্গে  অবশেষে  দূরে ঐ স্বর্গ রোহিনী পাহাড়ে পৌছতে  চাই। নয়নিকা হায় ভালোবাসার বে-খেয়ালে, এত আশা-নিরাশার, মানে- অভিমানে-প্রেমে-বিরহের এ আমরা কোথায় এলাম? চারিদিকে শুধু আঁসটে  দুর্গন্ধ,  রক্ত ক্ষরণ, গাড় অন্ধার, গহন অরন্যে  সর্পিল সুরঙ্গে সংকীর্ন  পথে  পিচ্ছিল

কাজী নজরুল ইসলাম এর অভিশাপ

শিরোনাম   অভিশাপ             কাজী নজরুল ইসলাম                       কাজী নজরুল ইসলাম এর অভিশাপ  যেদিন আমি হারিয়ে যাব , বুঝবে সেদিন বুঝবে অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবে বুঝবে সেদিন বুঝবে। ছবি আমার বুকে বেধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি সাগর আকাশ বাতাশ চিরি সেদিন আমায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে। স্বপন ভেঙ্গে নিশুত রাতে , জাগবে হঠাৎ চমকে কাহার যেন চেনা ছোয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে- জাগবে হঠাৎ ছমকে , ভাববে বুঝি আমিই এসে বসনু বুকের কোলটি ঘেষে ধরতে গিয়ে দেখবে যখন শুন্য শয্যা মিথ্যা স্বপন বেদনাতে চোখ বুজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে গাইতে গিয়ে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না বলবে সবাই- সেই যে পথিক তার শোনানো গান না ?- আসবে ভেঙ্গে কান্না , পড়বে মন আমার সোহাগ কন্ঠে তোমার কাদবে বেহাগ পড়বে মনে আমার ফাকি অশ্রুহারা কঠিন আখি ঘন ঘন মুছবে , বুঝবে সেদিন বুঝবে। আবার যেদিন শিউলী ফুলে ভরবে তোমার অঙ্গন তুলতে সে ফুল গাথতে মালা , কাপবে তোমার কঙ্কণ কাদবে কুটির অঙ্গন , শিউলী ঢাকা মোর সমাধি পড়বে মনে উঠবে কাদি বুকের জ্বালা করবে মালা চোখের জলে সেদিন বা

ইচ্ছেঘুড়ি

ইচ্ছেঘুড়ি শিরোনাম   ইচ্ছেঘুড়ি আজিম আকাশ ইচ্ছেঘুড়ি যখন-তখন যেথা-সেথায় ঘুরে; ইচ্ছেঘুড়ি বীনা সুতায় সপ্ত আকাশ উড়ে। ইচ্ছেঘুড়ি সকাল-বিকাল রঙিন স্বপ্ন দেখায়; ইচ্ছেঘুড়ি মনের মাঝে স্বপ্ন বুনতে শেখায়। ইচ্ছেঘুড়ির নেইতো কোন ঝড়-তুফানের ভয়; ইচ্ছেঘুড়ি এক পলকেই আকাশ করে জয়। ইচ্ছেঘুড়ির হঠাৎ-সঠাৎ নূতন বার্তা আনে; ইচ্ছেঘুড়ি যখন-তখন ভাসে সুখের বানে। টঙ্গিবাড়ি, মুন্সীগঞ্জ থেকে রচনাকাল : ০৩.০৯.১৪ইং   কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

ফুল ! তুমি ও এক নারী

শিরোনাম    ফুল !  তুমি  ও  এক  নারী                       শ্যামল সোম নারী ফুল হয়ে, ফুঁটছে  হৃদয়  কাননে, কাননের  নানা  গাছে, আহাহা ফুলের কী বাহার ! সেই সব গাছের ফুল ছিঁড়ে এনে, তোর  কামনার  আগুনে সেঁকে, জোছন ভরা আলো করা  রূপে মাতাল হওয়া  গন্ধে, আকুল হয়ে; হারামী  পুরুষ ! তুই প্রেমের মায়া জাল  ফেলে, রঙ্গিন  স্বপ্নের জাল বুনে, ফুলের সারা শরীরে আদরের বন্যায়, বন্য ভয়ঙ্কর তোর কঠিন পৌরুষের আঘাতে আঘাতে, ফুলের মতন নারীর পেলব শরীর থেকে খুবলে খেলি  একে  একে  চোখ  ঠোঁট,  স্তন, নাভীমূল, মাতৃ যোনী;  হায় ! পুরুষ যে দ্বারে তোর জন্ম, ঐ খানেই তোর মরন ! জোয়ান মরোদ গায়ে গতরে খেটে  মানব জমীন  চাষ  করে, সাজানো তোর  বাগানে  শত ফুল বিকশিত  কর, নইলে তুই দোজখের  আগুনে, নরকে  ফুট ন্ত তেলে পুড়বি, ভয়  হয় না তোর ? ওপরওয়ালার  ভয়াবহ  মারে -এডসে  রোগে বা  পক্ষাঘাতে-পঙ্গু  হয়ে বিছানায় শুয়ে ঈ শ্বরকে  হাজার ডাকলেও  তিনি  মুখ  ফিরিয়ে  থাকবেন, নারী যিনি,  সৃস্টির অধীশ্বরী !  ভগবতী যার  স্তন দুগ্ধে  শিশুর মরণ বাঁচন; তাঁকে ধ র্ষন  ভালোবাসা  ছলনায়,  জানি, খলের  ছলের  অভাব হয় না কখন, নারীর  সৌন্দর্য  নিয়ে 

দিশেহারা

শিরোনাম   দিশেহারা দিশেহারা                    ডা: প্রবীর আচার্য্য নয়ন তুমি আমার কবিতা লেখার প্রেরণা হয়ে থাক তুমি আমার গানের কথার ছন্দ হয়ে থাক আমার গানে আমার প্রাণে কাছে দুরে সকল স্থানে আমার চিন্তায় সারাক্ষণের সঙ্গী হয়ে থাক আমার বাণী তোমার তরে তবু যখন কেউ তা পড়ে মনে করে তুমি আমায় আপন করে রাখ আমি জানি তোমার কথা কেউ কখনো বোঝেনা তা তুমি আমি ভিন্ন কোথা ভিন্ন হবো নাক ভাবনা আমার তোমায় ঘিরে প্রাণ পেয়েছে ধীরে ধীরে তৃষ্ণা আমার তোমার তীরে বেঁধেছে এক সাঁকো তোমার ছবি এ অন্তরে এঁকে রাখি যত্ন করে তোমার মনে যেমন করে আমার ছবি আঁক সে নাম সদাই গোপন রাখি যে নাম ধরে তোমায় ডাকি সঙ্গোপনে আমাকে কি প্রিয় নামে ডাক তুমি আমার গল্পে এক গল্প হয়ে থাক। গভীর রাতের অন্ধকারে তোমার কথা স্মরণ করে যখন জন্ম গ্রহণ করে নতুন কবিতা দিনের আলোর পরশ পেলে প্রথম সে তার দৃষ্টি মেলে প্রথম তোমার কানে ফেলে প্রথম শুনি তা তুমি হাস ভালবাস শব্দ হয়ে কাছে আস স্পর্শ হয়ে দুঃখ নাশ হে পরিচিতা তোমায় ছাড়া দেয় না ধরা কবিতার ঝর্ণাধারা জীবন যেন ছন্নছাড়া হে পরিণিতা এই মিনতি তোমার কাছে তোমার মাঝে যে ধন আছে সে ধন দিয়ে নতুন সাঁচে নতুন ভুবন গড় অসীম