সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হাঁটছি – পাবলো নেরুদা

হাঁটছি – পাবলো নেরুদা প্রায়শ এমন হয়-নিজেকে মানুষ ভাবলে বমনেচ্ছা হয় হেঁটে যাই দর্জির দোকান আর সিনেমাহলের ভিতর দিয়ে শুকিয়ে ওঠা , জলনিরোধক , পশমী কাপড়ের তৈরি একটি রাজহাঁ স নিয়ন্ত্রণ করছে আমার পথ ছাই আর জরায়ূর জলে। নাপিতের দোকানের গন্ধ আমাকে ঠেলে দেয় ঘোড়ার কান্নার ভিতরে আমি কেবল পাথর কি পশমের মতন স্থির শুয়ে থাকতে চাই আর আমি দোকান আর আমি বাগান দেখতে চাই না দেখতে চাই না পন্য , চশমা , লিফট। প্রায়শ এমন হয়- আমার পা ও নখের ওপর ঘেন্না ধরে যায় আর আমার চুল আর আমার ছায়ায় বমনেচ্ছা হয় । প্রায়শ এমন হয়-নিজেকে মানুষ ভাবলে বমনেচ্ছা হয়। এখনও বিষয়টি চমৎকার হতে পারে সুন্দর লিলি ফুল দিয়ে একজন আইনের কেরানিকে ভয় দেখানো অথবা কানে আঘাত করে সন্ন্যাসিনীকে খুন করা বেশ হয় সবুজ চাকু নিয়ে হেঁটে গেলে রাস্তায় ঠান্ডায় মরার আগে তারস্বরে চিৎকার করলে। অন্ধকারে শিকড় হতে আমি চাইনা অনিশ্চিত , ছড়ানো , ঘুমের সঙ্গে শিউরানো নীচে নেমে যাওয়া , একেবারে পৃথিবীর ভেজা-ভেজা নাড়িভুঁড়িতে ভিতরে নিতে নিতে ভাবা , প্রতিদিন খাওয়া। আমি এত দুঃখযাতনা চাইনা। সমাধি ও শিকড়ের মতো আমি

শীতের স্বপ্ন – আর্তুর র‌্যাঁবো

শীতের স্বপ্ন – আর্তুর র‌্যাঁবো শীতে আমরা গোলাপি রঙের নীল গদির ছোট্ট ঘোড়াগাড়িতে করে বেড়াতে যাব। ভালো লাগবে আমাদের। উন্মাদ চুমুর ঝাঁক অপেক্ষা করছে আমাদের কোণে। কিছু দেখবে না বলে চোখ বন্ধ করে থাকবে তুমি , কাচের ভিতর দিয়ে ভেংচি কাটবে সন্ধ্যার ছায়া , ক্রদ্ধ গর্জন করতে থাকা ঐসব দৈত্যেরা , কালো নেকড়ে ও কালো পিশাচের ভিড় পাশ কেটে চলে যাবে। তারপর তুমি টের পাবে তোমার শক্ত গালে সুড়সুড়ি লাগছে হালকা চুমু উত্তেজিত মাকড়শার মতন তোমার ঘাড়ে দৌড়াবে … আর তুমি মাথা নাড়তে নাড়তে বলবে: ‘ ধর ’! তারপর আমরা প্রাণিটিকে খুঁজতে থাকব যেটিও অনেক দূরে যাবে বেড়াতে … অনুবাদ: ইমন জুবায়ের