সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আল মাহমুদ এর কবিতা অবুঝের সমীকরণ

আল মাহমুদ এর কবিতা অবুঝের সমীকরণ শিরোনাম    অবুঝের সমীকরণ                 কবিতা বোঝে না এই বাংলার কেউ আর দেশের অগণ্য চাষী , চাপরাশী ডাক্তার উকিল মোক্তার পুলিস দারোগা ছাত্র অধ্যাপক সব কাব্যের ব্যাপারে নীরব! স্মাগলার আলোচক সম্পাদক তরুণীর দল কবিতা বোঝে না কোনো সঙ অভিনেত্রী নটী নারী নাটের মহল কার মনে কাতোটুকু রঙ ? ও পাড়ার সুন্দরী রোজেনা সারা অঙ্গে ঢেউ তার , তবু মেয়ে কবিতা বোঝে না! কবিতা বোঝে না আর বাংলার বাঘ কুকুর বিড়াল কালো ছাগ , খরগোস গিরগিটি চতুর বানর চক্রদার যত অজগর! কবিতা বোঝে না এই বাঙলার বনের হরিণী জঙ্গলের পশু-পাশবিনী। শকুনী গৃধিনী কাক শালিক চড়ুই ঘরে ঘরে ছুঁচো আর উই ; বাংলার আকাশের যতেক খেচর কবিতা বোঝে না তারা। কবিতা বোঝে না অই বঙ্গোপসাগরের কতেক হাঙর! আল   মাহমুদ

পচে যাওয়া সভ্যতা

পচে যাওয়া সভ্যতা পচে যাওয়া সভ্যতা ………………………………. পুরনো ক্ষতটা আবারো জাগিয়ে সভ্যতা মাথা নুয়ে পড়ে বেগানা কুমারী মেয়ের মত জীর্ণতার প্রকোষ্ঠে মানবতার লাল-নীল বাতিগুলো সভ্যতার পদতলে পদদলিত হয়ে জবরদখল করে নেয় সমস্ত মনুষ্যত্ব অসভ্য পূজারী তবুও নিষিদ্ধ নারীর গল্পের আখ্যানে রাত-দিন মাতোয়ারা হয়ে থাকে। ক্ষমতাবান পুরুষ তুমি কতদিন ঘুমাবে , নারীর যৌবনের প্রতি আর কত অর্ঘ্য ঢেলে স্বমেহনে মিটাবে বিপুল ক্ষুধা,  সভ্যতার পোশাক আরও কত লম্বা হলে অষ্টাদশী প্রেমিকা তোমার নির্ভয়ে কাছে আসবে রক্তচোষা বাদুরের মত কত রক্ত নিবে শুষে , সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা অনিয়ম , সভ্যতার নামে অসভ্যতা আধুনিক হওয়ার নামে আরও কত নগ্নতা দেখাবে তুমি। কচুরিপানার মত ভেসে যাবে তোমার এ অস্বাভাবিক সভ্যতা , ঝরে পড়বে অবক্ষয়ের ধুসর পোশাক ঝরা পাতার মত শুধু সময়ের অপেক্ষা ……………… । কবি ; মোকসেদুল ইসলাম

অন্তরতম অঁচল

ontortomo anchol;:golam masum zico  শিরোনাম      অন্তরতম অঁচল ১ পীতবর্ণের পাঞ্জাবির পকেট থেকে এক মুঠো হাওয়া বের করে উড়ন্ত চুম্বনে পাঠিয়ে দিলাম তোমাকে  অত:পর, ধীর পদক্ষেপে চলা একটু একটু করে ফাল্গুনের মৃদু হিমেল হাওয়ায় ভালবাসা নিলো স্মৃতিতে আশ্রয় প্রকৃতির আলয় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার শুরু তখন থেকেই তখন থেকেই ক্রমান্বয়ী ধারামধ্যে প্রস্থান তখন থেকেই রঙ্গিন প্রজাপতিরা সব নির্বাসনে ২ হঠাৎ তোমাকে দেখা প্রকৃতির মাঝে রঙের ধারা ৩ অলীক কল্পনা নিষিক্ত বালিশ অভিষিক্ত ভালবাসা যেন বসন্ত ছুঁয়েছে কামনায় ৪ তুষার ধবল মন প্রবাস জীবন বেদনাকে পিছে ফেলে প্রিয়তমা প্রেয়সীর সঙ্গে নতুন জীবন ভালবাসাও মুগ্ধ আজ  < গোলাম মাসুম জিকো > www.zics.me

ইচ্ছে পাখি

শিরোনাম  ইচ্ছে পাখি ইচ্ছে পাখি গতকাল রাতে ঘরে ফিরে দেখি, খাঁচা ভেঙ্গে উড়ে গেছে ইচ্ছে পাখি।  ইচ্ছে পাখি , ইচ্ছে পাখি , আমি এখন ইচ্ছে গুলো কোথায় রাখি !  হায়রে , ইচ্ছে পাখি, আমার সুখ আমার দুঃখ এখন কাকে বলি!  রেখেছিলাম পরম যতনে বেঁধে তাকে, ইচ্ছে গুলো করতে পুরন দিতাম কতো ঘুষ, তোরও ইচ্ছে আছে পাইনি কখনো হুঁশ, তাইতো চুপ করে চলে গেলি আমায় ফেলে, হায়রে , ইচ্ছে পাখি। দুনিয়া চষে পেয়েছিলাম তোকে তিব্বতের পাহাড়ে, করেনি কখনো নালিশ,কেন তবে দিলি আমায় ফাঁকি? হায়রে আমার ইচ্ছে পাখি ।  parvez sazzad M

আমি এক সৌন্দর্য রাক্ষস : ফালগুনী রায়

শিরোনাম   আমি এক সৌন্দর্য রাক্ষস                             আমি এক সৌন্দর্য রাক্ষস : ফালগুনী রায় প্রজাপতির চিত্রল ডানা দেখে বিরহ থেকে বিবাহের দিকে চলে যায় মানবসম্প্রদায় — আমি এক সৌন্দর্যরাক্ষস ভেঙে দিয়েছি প্রজাপতির গন্ধসন্ধানী শুঁড় আমার নিজের কোনো বিশ্বাস নেই কাউর ওপর অলস বদ্মাস আমি মাঝে মাঝে বেশ্যার নাঙ হয়ে জীবনযাপনের কথা ভাবি যখন মদের নেশা কেটে আসে আর বন্ধুদের উল্লাস ইআর্কির ভেতর বসে টের পাই ব্যর্থ প্রেম চেয়ে দেখি পূর্ণিমা-চাঁদের ভেতর জ্বলন্ত চিতা এখন আমি মর্গের ড্রয়ারে শুয়ে আছি এক মৃতদেহ আমার জ্যান্ত শরীর নিয়ে চলে গেছে তার শাঁখাভাঙা বিধবার ঋতুরক্ত ন্যাকড়ার কাছে মর্গের ড্রয়ারে শুয়ে আছি — চিতাকাঠ শুয়ে আছে বৃক্ষের ভেতর প্রেম নেই প্রসূতিসদনে নেই আসন্নপ্রসবা স্ত্রী মর্গের ড্রয়ারে শুয়ে আছি এভাবেই রয়ে গেছি কেটে যায় দিন রাত বজ্রপাত অনাবৃষ্টি কত বালিকার মসৃণ বুকে গজিয়ে ওঠল মাংসঢিবি কত কুমারীর গর্ভসঞ্চার গর্ভপাত — সত্যজিতের দেশ থেকে লাভ ইন টোকিও চলে গ্যাল পূর্ব আফরিকায় — মার্কাস স্কোয়ারে বঙ্গসংস্কৃতি ভারতসার্কাস রবীন্দ্রসদনে কবিসন্মিলন আর

নির্জনতার গাথা-আলেক্সানডার পোপ

Alexander Pope শিরোনাম  :  নির্জনতার গাথা                         কত সুখী সে যার আশা ও উদ্বেগ ঘিরে থাকে পৈত্রিক সামান্য সীমানায় তৃপ্ত নিশ্বাস নিতে পেরে আপন হাওয়ায় নিজের ভূমিতে । যার প্রাণীরা ভরা থাকে দুধে , মাঠ ভরা অন্ন , যার মেষের লোম পোশাক জোগায় যার বৃক্ষরা গ্রীষ্মে নুয়ে পড়ে ছায়ায় , শীতে আগুন জ্বালায়। আর্শীবাদ-ধন্য , যে অনায়াসে পেয়ে যায় সময় , দিন আর বছর , চলে যায় মৃদু পায় স্বাস্থ্যভরা শরীর , মনপূর্ণ শান্তি প্রশান্ত দিন , রাতে গভীর নিদ্রা ; পাঠ ও প্রশান্তি , একাকার ; মধুর বিনোদন ; আর সরলতা , সবাই খুশি হয় ধ্যানমগ্নতায়। এইভাবে থাকতে দাও আমাকে , অদেখা , অজানা , এইভাবে বিলাপহীন মরতে দাও আমাকে , নীরবে ঝ ’ রে যেতে পৃথিবী থেকে , কোনো পাথরকেও বলোনা শুয়ে আছি কোথায়।

ভালবাসতাম- আলেকজান্ডার পুশকিন

ভালবাসতাম- আলেকজান্ডার পুশকিন শিরোনাম   ভালবাসতাম

একটি প্রদীপ

শিরোনাম  একটি প্রদীপ                                         kabir suman -ekti prodeep কাবির সুমন শহরের আকাশে যে তারা এক আঁধারবিন্দু সংখ্যালঘুর মতো সে লুকোয় গুরুছায়া নিয়ে এ দেশে সে মুসলিম ও দেশে বৌদ্ধ হিন্দু খ্রীষ্টান দু’দিকেই ছায়াপথে রয়েছে লুকিয়ে। জীবনসন্ধে এল, তাকে বলি লুকিয়ে থেকো না সংখ্যালঘুর মতো সংখ্যাগুরুও চলে যায় জীবনের ইন্ধন ফুরিয়ে যাবেই একদিন অমোঘ মৃত্যু আসে, লঘু গুরু বেবাক মেলায়। নামে কী বা আসে যায়, সংখ্যাগুরুর গুরুবাণী অথচ ওখানে মরে কাবেরী, এখানে আয়েষা কার্বনে গড়া দেহ পুড়ে যায় একই আগুনে তারপরে হয় ভোট, গণতন্ত্রের চেনা ভাষা। বারবার হবে খুন লঘুরা যে গুরুদের হাতে বারবার পুড়ে যাবে যে ঘর আগুনে মানুষের সে ঘরে সকাল হবে আতঙ্করাত চলে গেলে কিছুটা সবুর করো ফুরোবে আগুন সূর্যের। সকাল হবে না আর হিলিয়াম শেষ হয়ে গেলে ধর্ম বা রাজনীতি কোথাও জ্বালবে না আগুন তার আগে জ্বেলে দাও প্রিয়তমা একটি প্রদীপ একটু মাটির দেহে একটি শিখার গুনগুন।

ফেরার

শিরোনাম  ফেরার bangla kobita  কবি অনুভব ঘটক ঝড় উঠবে না শুধু আঁজলা ভরিয়ে হন্যেবাতাস নাও, ঝাপটাও দুচোখে তোমার। হাঁটো দুকদম আরো হাঁটো দুকদম। ঝরে পড়বে না কিছু। যাবতীয় শিউলিশিশির যাবতীয় উজ্জ্বল জয়িত্রীরং ঘাসের মুষড়ে পড়া সন্ধের প্যারাফিন সলতেতে নোঙর ফেলেছে। কেউ বাড়ি ফিরে এলো... তেমনই শোবার ঘর। সেরকমই আছে খাট পাটভাঙা চাদর বেছানো, শাদা রঙ, অনচ্ছ নীল ফুল বালিশের ওয়াড়ের কোণে। পূবের জানলা জুড়ে অপূর্ব নকশার কাঁচ, বোবা আলো। শিয়রের পাশে টুল, বোতলের জল, ঢাকা স্টীলের গেলাশ। ঝরে পড়া মানা... কেউ বাড়ি ফিরে এলো...

খুকিকে ফেরত দিয়ো - শাওন কুন্ডু

খুকিকে ফেরত দিয়ো শিরোনাম :  খুকিকে ফেরত দিয়ো কবি :  শাওন কুন্ডু ইচ্ছে হয় - হয় বৈকি - ইচ্ছের জয়ঢাক বেজে যায় রাতদিন জলদগম্ভীর সেই আধো-আধো বুলি - স্নেহের ডাক শান্ত বাতাস যেন সাহসা অস্থির আলুপোস্ত -মাছ-মুসুরীর ডাল আমি খাইয়ে দিচ্ছি সোনা লংকা আছে - বাব্বা বড্ড ঝাল মাখিয়ে দিচ্ছি এবার না বলো না মনে পড়ে - মনে পড়ে ... দিগন্ত ব্যাপী তেড়ে আসে ঝড়ের সংকেত কেঁপে ওঠে সম্পর্কের সাঁকো নড়বড়ে জলাভাবে চৌচির ফসলের ক্ষেত সন্ধে থেকে শুরু আবার কান্না ..... শুধুমাত্র দুধটুকু খেয়ে নাও সোনা তারপর ঘুমু যাবে নীল পরিদের দেশ ফুল-ঝর্ণা-পাখি বর্ণালি আবেশ ...... আদালত, তুমি নাকি জড় নও, দারুন সক্রিয় কিছুই চাই না - দিও না - শুধু খুকিকে ফেরত দিয়ো ...

হুঁকোমুখো হ্যাংলা- সুকুমার রায়

শিরোনাম    হুঁকোমুখো হ্যাংলা - সুকুমার রায় হুঁকোমুখো হ্যাংলা বাড়ি তার বাংলা মুখে তার হাসি নাই দেখেছ? নাই তার মানে কি? কেউ তাহা জানে কি? কেউ কভু তার কাছে থেকেছ? শ্যামাদাস মামা তার আফিঙের থানাদার, আর তার কেহ নাই এ-ছাড়া - তাই বুঝি একা সে মুখখানা ফ্যাকাশে, ব'সে আছে কাঁদ'-কাঁদ' বেচারা? থপ্ থপ্ পায়ে সে নাচত যে আয়েসে, গালভরা ছিল তার ফুর্তি, গাইতো সে সারা দিন 'সারে গামা টিমটিম্' আহ্লাদে গদ-গদ মূর্তি। এই তো সে দুপ'রে বসে ওই উপরে, খাচ্ছিল কাঁচকলা চটকে - এর মাঝে হল কি? মামা তার মোলো কি? অথবা কি ঠ্যাং গেল মটকে? হুঁকোমুখো হেঁকে কয়, 'আরে দূর, তা তো নয়, দেখছ না কিরকম চিন্তা? মাছি মারা ফন্দি এ যত ভাবি মন দিয়ে - ভেবে ভেবে কেটে যায় দিনটা। বসে যদি ডাইনে, লেখে মোর আইনে - এই ল্যাজে মাছি মারি ত্রস্ত; বামে যদি বসে তাও, নহি আমি পিছপাও, এই ল্যাজে আছে তার অস্ত্র। যদি দেখি কোনো পাজি বসে ঠিক মাঝামাঝি কি যে করি ভেবে নাহি পাই রে - ভেবে দ্যাখ একি দায় কোন্ ল্যাজে মারি তায় দুটি বৈ ল্যাজ মোর নাই রে।' https://www.facebook.com/pages/Kobial/453242644797611