সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দিশেহারা

শিরোনাম দিশেহারা
বাংলা কবিতা
দিশেহারা

                  ডা: প্রবীর আচার্য্য নয়ন

তুমি আমার কবিতা লেখার প্রেরণা হয়ে থাক
তুমি আমার গানের কথার ছন্দ হয়ে থাক
আমার গানে আমার প্রাণে কাছে দুরে সকল স্থানে
আমার চিন্তায় সারাক্ষণের সঙ্গী হয়ে থাক
আমার বাণী তোমার তরে তবু যখন কেউ তা পড়ে
মনে করে তুমি আমায় আপন করে রাখ
আমি জানি তোমার কথা কেউ কখনো বোঝেনা তা
তুমি আমি ভিন্ন কোথা ভিন্ন হবো নাক
ভাবনা আমার তোমায় ঘিরে প্রাণ পেয়েছে ধীরে ধীরে
তৃষ্ণা আমার তোমার তীরে বেঁধেছে এক সাঁকো
তোমার ছবি এ অন্তরে এঁকে রাখি যত্ন করে
তোমার মনে যেমন করে আমার ছবি আঁক
সে নাম সদাই গোপন রাখি যে নাম ধরে তোমায় ডাকি
সঙ্গোপনে আমাকে কি প্রিয় নামে ডাক
তুমি আমার গল্পে এক গল্প হয়ে থাক।
গভীর রাতের অন্ধকারে তোমার কথা স্মরণ করে
যখন জন্ম গ্রহণ করে নতুন কবিতা
দিনের আলোর পরশ পেলে প্রথম সে তার দৃষ্টি মেলে
প্রথম তোমার কানে ফেলে প্রথম শুনি তা
তুমি হাস ভালবাস শব্দ হয়ে কাছে আস
স্পর্শ হয়ে দুঃখ নাশ হে পরিচিতা
তোমায় ছাড়া দেয় না ধরা কবিতার ঝর্ণাধারা
জীবন যেন ছন্নছাড়া হে পরিণিতা
এই মিনতি তোমার কাছে তোমার মাঝে যে ধন আছে
সে ধন দিয়ে নতুন সাঁচে নতুন ভুবন গড়
অসীম আকাশ তারায় ভরা এই পৃথিবী শিলায় গড়া
নয়ন কেন দিশেহারা এত কথার পরও।
 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)