সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমাতে নিবদ্ধ হও

শিরোনাম   আমাতে নিবদ্ধ হও আমাতে নিবদ্ধ হও মোকসেদুল ইসলাম আমার স্বপ্নগুলো কি তোমাকে এখনও স্পর্শ করে আগের মতো। জোছনা রাতে চাঁদের আলো গায়ে মেখে উপলব্ধির স্পর্শে ঝুল বারান্দায় ভুল চোখে এখনও কি আমায় দেখো? এখনও কি তোমার প্রহর কাটে বিলম্বিত আকাশ দেখে মাঝরাতের দুঃখগুলো করে তাড়া পাগলা ঘোড়ার মতো, তোমার মনের ভিতর এখনও কি বিষন্ন ফুল ফোটে নিঝুম হাওয়ায় একলা রাতে ভাঙা টবে। বিষাদের নীলগিরিতে এখনও কি মুখ লুকিয়ে কাঁদো একলা বসে কালের অথৈ গহ্ববরে শহুরে স্বপ্নগুলো আঁতুড় ঘরেই যায় মরে চৈত্রের খরতাপে তৃষিত ছায়ায় শরীরের ভাঁজে ভাঁজে এখনও কি কষ্টের রেখা ফুঠে ওঠে? আমাতে নিবদ্ধ হও মেয়ে মেঘ দূতদের পাঠিয়ে দিব সব দুঃখ শুষে নিতে স্নিগ্ধ ভোরে পাখি হবো, আঁচল ভরে রোদ্দুর দিব এনে।  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

পাগলা মনটারে তুই বাঁধ

শিরোনাম   পাগলা মনটারে তুই বাঁধ পাগলা মনটারে তুই বাঁধ শ্যামল সোম   মেঘলা দিনে, রইলি পড়ে, ঘরের কোনে একলাই পড়ে, এখন  তুই কাঁদ। বিছিয়ে আছে বিশ্ব জোড়া জালের  মায়ার ফাঁদ। কেঁদে কেঁদে নয়ন জলে, চরণ তাঁর  ধুইয়ে দে-রে, ছেড়ে কামিনী কাঞ্চন,  স্মরণ নে রে প্রভুর চরণ। মনের যত বাসনা ছিল ও -যে কেবল মায়ার রঙিন সঙ্গিন ফানুসের মত আসমানে উড়লি হবে? যখন যেতেই হবে।   তোর দিন ফুরলো, ও মন, এবার সাঙ্গ হলো তোর সকল খেলা বৃথা কাজে সময় গেলো, ঐ অলসতায়, শুয়ে,বসে কাটলো বেলা। এখন এই যাওয়ার বেলায়, করিস কেন ছল, ছল করে তুই একে একে মনের মানুষ খুজতে গেলে,  শহর গ্রামে হেথায় হোথায়, ঘুরে ঘুরে একা একা ফিরলি কত, বিদেশী মুসাফিরের মত।  প্রভুর কৃপায় পেলি মন্ত্র, সেই সে বানী, তাও খোয়ালি, এখন, জ্বলে পুড়ে পোড়া গাছের শরীরে, সকল পাতাই গেছে ঝরে। ফুল ফোঁটে না, পোড়া গাছের ডালে দোল খায় না পাখী, ঐ যে বহিছে নদী, সেই নদীর তীরেই শ্মশান, জ্বলছে চিতা। উড়ছে ছাই, ডাকছে নদী, তুই নদীর ডাকে, শক্ত করে মনকে বেঁধে, ঐ নদীর জলে ডুবে চলরে ভেসে নদীকে ভালোবাসে। পাগলা তোর ঐ লালায়িত লালসা, ভোগের ভাবনায়, দে দে ওরে আগুন জ্বেলে দে,   কমেন্ট করতে ভুলবেন না ক

টোকাই জীবন

টোকাই জীবন শিরোনাম  টোকাই জীবন আজিম আকাশ এই যে যারা অধিক শীতে কাপে যবু থবু; তাদের তরে তোমার মনে হয় কি দয়া কভু! অনাহারে অর্ধাহারে কাটে জীবন দুর্ভোগে; কেউ কি তবু দাঁড়ায় পাশে তাদের কঠিন দুর্যোগে। তোমরা যখন ইটের ঘরে থাক মহা সুখে; হাঁড় কাপানো শীতে তখন থাকে তাঁরা দুঃখে। রাস্তা-ঘাটে ময়লা ঘেটে জীবন কাটে হেলায়; স্মৃতিগুলো পাড় হয়ে যায় দিন বদলের পালায়। দুঃখের মাঝে কাটে সময় ভাগ্যে রটে না কিছু; বস্তির মাঝে কাটে জীবন কষ্ট ছাড়ে না পিছু।  (টঙ্গিবাড়ি, মুন্সীগঞ্জ)  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা

শিরোনাম   হে শতবর্ষী পূনর্ভবা  হে শতবর্ষী পূনর্ভবা      মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন হে শতবর্ষী পূনর্ভবা তোমাকে বলছি, রুপে রুপসী পূণর্ভবা শিমুলের রক্ত রাঙানানো দৃশ্যে- শুকনো বাঁশের ঝঁপে মাছেদের দলের সামনে বসেছি। হাজার বছরের ইতিহাস আজ উঠে ফুঁটে ক্ষণে ক্ষণে, জন্ম-মৃত্যু-বন্ধন আর আবেগ রুদ্ধ মনে- কতকাল গেছে; কত ক্ষণ দূরের কোকিলের ডাক শোনা যায়, আমের মুকুল রৌদ্দুর দুপুরে অসীম স্বপ্ন জাগায়। তুমি পূনর্ভবা; হাজার পথের মিলনের সাক্ষি তুমি, ছুটে এসেছি তোমার বুকেতে সবুজ ঘাসের দেহেতে আমি। মাছরাঙার নিরব অপেক্ষার পহরের মত অপেক্ষা করি, যতদূর যায় চোখ চেয়ে দেখি চিকচিক বালি। হে শতবর্ষী পূনর্ভবা, তোমার তীরে সাদা সজনে ফুলের মেলায়- অজও কত রঙে ঝলমল রোদে মেতে উঠ তুমি খেলায়। কত যুগ পেরিয়েগেছে, কতজন হারিয়েগেছে দূরের কবরাস্থানে, কত স্মৃতি জড়িয়ে রেখেছে অগ্নিশিখার শ্মসানে- আমি তারিই ছবি আঁকি আজও হাজার বছরের ইতিহাস, দু’তীরে ভাঙা গড়ার মাঝে হারিয়ে যাওয়া-গড়ে তুলা বসবাস। তোমার যৌবনের রুপখানি আঁকি, পালতুলা নৌকা মাঝিদের, তুমি আসবে ফিরে মনের দিগন্তে বাস্তবতায় ফের। হাজার বছরের রত্নগুলো ভাসে মনে কত জীবন্ত স্বপ্ন