সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আব্দুল মান্নান সৈয়দ– মালার স্মৃতি

আব্দুল মান্নান সৈয়দ– মালার স্মৃতি  শিরোনাম  মালার স্মৃতি  ‘ মনে রাখার দিন গিয়েছে , এখন ভোলার পালা! ’ _ প্রশ্ন আমার : ভুলতে কি পেরেছিলেন কাজী কবি স্বয়ং ? বর্ণহীন জীবনে কেউ ভুলতে পারে ভালোবাসার রঙ ? মালার স্মৃতি থেকেই যায় , যতো শুকোক মালা!  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

আঁরি মিশোর কবিতা

আঁরি মিশোর কবিতা শিরোনাম  সরলতা এতকাল যাবৎ আমার জীবনে যে জিনিসটার অভাব ছিলো সেটা হলো সরলতা। এখন আমি একটু একটু করে পাল্টাতে শুরু করেছি। যেমন ধরুন , এখন আমি সর্বদাই বাইরে বেরুই আমার বিছানাপাতি সঙ্গে নিয়ে , আর কোনো নারীকে পছন্দ হলেই তাকে বিছানায় নিয়ে নিই। তার নাক বা কানগুলো যদি কুৎসিত বা বড় বড় হয় , সেগুলো আমি তার কাপড়চোপড়ের সাথে খুলে নিয়ে বিছানার নিচে রেখে দিই , যাতে করে যাবার সময় সে সেগুলো ফেরৎ নিয়ে যেতে পারে। আমার যা পছন্দ আমি শুধু সেটাই রাখি। যদি তার অন্তর্বাস পাল্টানো লাগে তক্ষুনি আমি সেগুলি পাল্টে দিই। এইগুলিই হলো আমার উপহার। কিন্তু যদি দেখি আরো সুন্দরী একটা নারী যাচ্ছে , তক্ষুনি আমি প্রথমটার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে হাওয়া করে দিই। লোকজন যারা আমাকে চেনে তাদের ধারণা , এতক্ষণ যা বলেছি সেটা আমি পারবোই না , সেটা আমার স্বভাবই নয়। নিজের সম্পর্কে আমারও একসময় তাই ধারণা ছিলো , তবে তার কারণ হলো তখন আমি যা-পছন্দ-তাই করতাম না। এখন আমার বিকেলগুলো অসাধারণ। (সকালের দিকে আমি কাজকর্ম করি।)   কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

অবলা রমণী

bangla kobita অবলা রমণী শিরোনাম   অবলা রমণী ঊষার ভোরে আসে না ছুঁটে চরণে নাই নূপুর , শৈলের চুঁড়ে মেলে না দেখা কাঁকনে সুর বিধুর। গাঙের তীরে বসে না একা পিছনে ছোটে কুকুর , কোথায় নারী যাবে সে আজ সামনে আছে অসুর। উদলা দুপুরে উঁইধরা মনে উঁকি দেয় উন্মনা। উথলা দরিয়া বক্ষে ধরে সুর তুলে খঞ্জনা। কলসি কাঁখে আসমান পানে খুঁজে ফিরে সান্তনা। অবলা বলে রমণীরা কেন এত পায় বঞ্চনা ? সাঁঝের পবনে বাতায়ন পাশে করে শত নিবেদন , জোনাক আলোয় আউলানো কেশে চেপে যায় কান্দন। অদূরে পিশাচ কলস্বনে ডাকে দেহ করো সমর্পণ , উদজ কামিনী অভিমান করে ছুঁড়ে দেয় দর্পণ। কবি ; আমিন পরবাসী 

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা "আমার পরিচয়"

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা  "আমার পরিচয়" শিরোনাম     আমার পরিচয় আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে ,   হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে ,   কোথা থেকে তুমি এলে   ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে। এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে। আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে আমি তো এসেছি   ‘ কমলার দীঘি ’ ‘ মহুয়ার পালা ’   থেকে। আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে। এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে। এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্ত

রিক্ত হস্ত

রিক্ত হস্ত   শিরোনাম      রিক্ত হস্ত                 রিক্ত হস্তে যেও না বেশি দূর কন্ঠহীন কন্ঠে, কেন অলীক খ্যাতির তরে সমাজে আকন্ঠ তোমার সুর? খ্যাতির জন্য ঠিক যতটুকু প্রয়োজন নিজেকে গড়ো তুমি সেভাবে, ত্যাগের মহিমা ছাড়া, ক্লেশহীন নিষ্কন্টক। করো না অযথা নিজেকে- যশ-খ্যাতির তালিকায় আত্নপ্রকাশ; সে খ্যাতি টিকবে না ধোপে তা শুধু অসুস্থ সংস্কৃতির বহি:প্রকাশ। পুঁজিবাদী  যারা তোমাদের সম্বল করে শূন্য পকেট করে ভারী, দিবা-রাত্রি ভর অসংখ্য চ্যানেলে চলে অপ-সংস্কৃতির অশুভ আয়োজন; তোমাদের মেধাহীন নির্লজ্জ আত্নপ্রকাশের- কাছে বার বার প্রকৃত মেধার হয় প্রশ্নবিদ্ধ নিশ্চিত বিভাজন। চোখের দৃষ্টি যেন ফিকে হয়ে আসে তোমাদের আকাশ সম- স্বপ্ন দেখার কসরত দেখে, হয়তো কিছুটা বাহবা, তোমার জীবনের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয় অগ্রগামী এক অন্য পথের পাথেয় রূপে, কিন্তু যেনে রেখো তা শুধু ক্ষণতরে; তাই দু’একটা অডিও এ্যালবাম কিংবা কিছু সময়সাপেক্ষ ষ্ট্যাজ পারফর্ম করার পর হারিয়ে যাও রুগ্ন সংস্কৃতি থেকে চিরতরে। তোমাদের মত ক্ষুদে-বড় মেধাহীন ছালমা, নোলক কিংবা বিউটি গড়েন যারা, তাদের রিক্ত পকেটগুলো আজ- এসএমএস বাণি

ফররুখ আহমদ এর কবিতা ঝরোকা

ফররুখ আহমদ এর কবিতা ঝরোকা  শিরোনাম   ঃ    ঝরোকা     সকল রুদ্ধ ঝরোকা খুলে দাও খুলে দাও সকল রুদ্ধ দরোজা। আসুক সাত আকাশের মুক্ত আলো আর উচ্ছল আনন্দের মত বাগে এরেমের এক ঝাঁক মৌমাছি .. .. যেন এই সব পাথরের ফুলের মাঝখান থেকে আমি চিনে নিতে পারি রক্তমনির চেয়েও লাল সুনভিত একটি তাজা রক্ত গোলাপ ; আমার ব্যথিত আত্মা আর্তনাদ করে উঠলো দাউদের পুত্র সোলায়মানের মতো কেননা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আকাশ আছে পৃথিবীতে চিরন্তন শুধু সত্যের অন্বেষা। কবি ঃফররুখ   আহমদ

না

বাংলা কবিতা "না"  শিরোনাম      না         না! খুব সহজেই তুমি বলে দিলে কথাটি অস্ফুট স্বরে যেন বোবা কণ্ঠে বলার পরেও গলা ধরে আসলো না তোমার। অথচ তোমাকে নিয়েই এই আমি নাগরিক কুঞ্জবনে মনের আনন্দে শখের বাগান করেছি ঘুমহীন রাতে পানি ছিটিয়েছি অনবরত তরতাজা রাখার জন্য। সেই তুমি আজ কত সুন্দর বিশ্রি সুরে বলে দিলে না, সম্ভব না ভাবার জন্য একটু সময় না হয় নিতে, অপেক্ষায় থাকতাম আমি দিন…. সপ্তাহ……. মাস……. বছর………… প্রয়োজন হলে যুগের পর যুগ কাটিয়ে দিতাম চন্ডিদাসের মত। আমার হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউয়ের আহাজারি এখনও শোননি তুমি আমার শখের বাগান শুকিয়ে এখন হয়েছে মরুভূমি তারপরেও অপেক্ষায় আছি তোমার এই ‘না’ বলা নাটকের শেষ দৃশ্যপট দেখার জন্য। আমি জানি, প্রতিটি নাটকের শেষ দৃশ্যপট একটি জায়গায় শেষ হবে। কবি ঃ  মোকসেদুল ইসলাম সমকালীন কবি ও কবিতা ২০১৪ এর জন্যে নির্বাচিত কবিতা