সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কত দিন দেখি না

কত দিন দেখি না  আজিম আকাশ                                                          কত দিন দেখি না   কত দিন দেখি না মাগো তোমার চাঁদ মুখী মলিন মুখখানি। গত রাতে স্বপ্নের বিভোরে দেখেছি তোমার অলৌকিক দু’টি হাত, যে হাতের স্নেহময়ী পরশে শৈশবে মুখে অন্ন তুলে দিতে; যে হাতের অনুশাসন দেখিয়েছে বিদ্বেষহীন সত্যের শুভ্র পথ, শিখিয়েছে অন্নের সমাপ্তিহীন ক্ষুধায়- জীবন যুদ্ধের অভয় বাণী। কাস্তের মত বাঁকা চাঁদের হাসি দিয়েছে চলার পথে অনুপ্রেরণা; দিয়েছে মৌন-মহান উদারতার শিক্ষা, দেখিয়েছে অন্ধকারে আলোর পথ; জেনেছি বিশ্বকে; দেখেছি অদেখা ভুবন। পৃথিবীর সমস্ত সুখ তোমার চাঁদমুখী অবিকল অভিনব বদনে, পৃথিবীর সমস্ত জল তোমার সৃজনশীল অশ্র“সজল লোচনে, গতরাতে দেখেছি তোমার সেই অশ্রুসিক্ত নির্ঘুম দু’টি চোখ। আজ জীবনের প্রয়োজনে কাঙ্খিত- কর্তব্যের টানে তোমা থেকে দূরে, অনেক দূরে যান্ত্রিক এক নগরীতে, যেখানে মানবতা নেই; নেই দু’দন্ড শান্তি আশ্বাসী হৃদয়ে জাগে না স্বপ্নসুখ, ফলে না সৃষ্টির হৃদয়ে হৈমন্তিক স্পন্দনে প্রত্যাশিত ফসল, শুধু থেকে থেকে নির্ঘুম চোখে তোমারই কথা মনে পড়ে বার বার, কত দিন দেখি না মাগো তোমার- চাঁদমুখী মলিন মায়াবী মুখখ

জপ অনুচ্চ স্বরে

জপ অনুচ্চ স্বরে  জপ অনুচ্চ স্বরে      আজিম আকাশ                                                                           জপ মনে মনে, ভবে অনুচ্চ স্বরে,      সৃজিলেন যিনি তাহারই তরে।     ভুল জাগতিক তোমার দুঃখ-বেদনা,     জগতের সুখের তরে বৃথা কেঁদোনা।     অনন্ত সুখ খুঁজবে তোমায় করলে পুণ্য;     বিফলে যাবে সবি, নেকির ভাগ হলে শূন্য।     হেলায় কাটিও না তাই ক্ষণস্থায়ী জীবন;     সময় ফুরিয়ে গেলে হবে নির্ঘাত মরণ।     জীবন যুঝায় লিপ্ত তুমি জঠরের জ্বালায়;     পুণ্যের সঞ্চয় নেই ভবে, কাটিয়ে হেলায়।     গুপ্ত পাপে সদাই তুমি প্রাণহীন জীবন্মৃত;     অমরত্বের কাজে ব্রত হলে হবে সমাদৃত।     কু-রিপুকে বাঁধ তুমি লোহার জিঞ্জিরে;     অযথা রেখো না মন, বন্দি পিঞ্জিরে।                                টঙ্গিবাড়ি, মুন্সীগঞ্জ