সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আবার ভাব হয়েছে আজ

শিরোনাম -  আবার ভাব হয়েছে আজ আবার ভাব হয়েছে আজ কবি - শ্যামল সোম সেদিনের সেই থমকে থাকা মুহূর্তেই তোমার সঙ্গে আমার হলো অনেক বোঝা পড়া তারপরই আড়ি। কাজে নেইকো মন , হঠাৎ ছেড়ে বাড়ী , আনমনে সেদিন ভোরে একা একাই বেড়িয়ে পড়ি। পায়ে পায়ে--ফাঁকা পথে-  হেঁটে হেঁটে , নদী পেড়িয়ে পৌঁছে যাই শাল পিয়ালের বনে ,  ফলশা রঙের ফুল ফুঁটেছে , ডাকছে দোয়েল , উড়ছে কত রঙের নকশা কাটা রঙিন প্রজাপতি। ফুরিয়ে এলো বেলা , পাতার আড়ালে রাঙা আলো খেলে লুকোচুরি খেলা। পেড়িয়ে এলেম বন এখন অবসন্ন মন , কী আশ্চর্য সামনে যে এক নদী--দৌড়ে নদীর কাছে যাই , নদীর পাড়ে পা ছ ড়িয়ে বসি। অনেক দূরে স্বপ্নের ময়ূরপংখী ভাসে , দলছুট একা পারিযায়ী পাখী ওড়ে ঐ নীল আকাশে , বাতাসে সুগন্ধ ভেসে আসে , জলকন্যাকে দেখি সাঁতরিয়ে চলে , নদীর সবুজ জলে। অমোক টানে নেমে এসেছি জলে-- ডুব দিয়ে খুঁজি তাকে , নাগালে পেয়ে জড়িয়ে ধরে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি , ঘণ আলিঙ্গণে কাঁপছে মেয়ে চোখের পাতা খুলে হাসে , চুম্বনের পর মেয়ের কানের কাছে ফিস ফিসিয়ে বলি , তুমি জলকন্যা নও , আমার বহূকালের ক...

দোহাই তোদের ! মাপ চাইছি

দোহাই তোদের ! মাপ চাইছি শিরোনাম -  দোহাই তোদের ! মাপ চাইছি কবি - শ্যামল   সো ম পাগলী ভালোবাসা কী অত   হিসেব নিকেশ -- করে হয় ? হায়!   শহরের পার্লারে সাজানো মেয়ে - তুই এ ও জানিস না ? ভালোবাসা যখন হয় তখন তা আপনি হয় , ভালোবাসা এলে ; বলছি ! মন দিয়ে শোন , প্রথম ভোরের আলোয় , সে দিন ১৯৬৭সাল ১৭ই জানুয়ারী শীতের কুয়াশায় ঘেরা-- বেতলার জঞ্জলে শীরিষ গাছের আড়াল থেকে আমার আদরের ফুলমনিকে মনে মনে বলি , " তুর কুচ কালো রূপের কী বাহার! আহহা ! ফুলমনি তুর ডাগর চোখের চোরা চাউনি তুফান তোলে , ভরা নদীতে ডাকছে বান , সেই বানের জলে সাঁতরে মুর কাছে ভেসে আসছিস , ভাবি--এর নামই ভালোবাসার টান---! টিলার উপর বসে , ফুলমনি তুকে-- শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখি আর ভগবান প্রনাম জানাই , কি অপরূপে রূপে গড়েছেন তোকে তিনি !   " ভাই রাগ করো না , শহরের মেয়েরা ভালোবাসতে , সত্যি তারা জানে না ! বড়   হিসেব করে ছকে খেলে , হেঃ হেঃ যৌবনে পাককা -খেলোয়ার ছিলাম হে ! কাল হলো ঐ নেতার হাট , চাইবাসা-বেতলার সবুজ বনে লাল শাড়ি , খোঁপায় শিমূল. ফুলমনির বাঁধভাঙ্গা ভালোবাসায় উত্তর কলকাতার লায়েক ফা...

ভিক্ষা করে ফিরি

ভিক্ষা করে ফিরি শিরোনাম  -  ভিক্ষা করে ফিরি কবি  -  শ্যামল   সোম আজ আমি ভালোবাসার তৃষ্ণায় ভয়ানক কাতর বুকের ভেতর অনবরতই রক্ত ক্ষরণে খয়ে খয়ে নিরালায় , নির্জনে খুব গোপনে একা একাই কাঁদি ! চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরতে কেউই পাশে নেই আজ ,সবাই ফিরে গেছে অবহেলে তাচ্ছিল্য , হাসি হেসে করুণা করে ঘৃন্য অপমানের পাথর ছুড়ে মেরেছে আমায় , বিশাল জায়গা জুড়ে আগুন জ্বেলে সেই অগ্নিকুন্ডে আমায় নিক্ষেপ করে পোড়াতে যাচ্ছিল- অন্য আর এক দল ছুটে এসে বাধা দিল ,  " না ! বুড়োকে আমারা ঐ হাড়ি কাঠে বলি দেবো বুড়োর রক্তে  দেওয়ালে দেওয়ালে লিখে দেবো বুড়োরা সাবধান , বুড়ো বয়ষে ভালোবাসতে চাইলে এভাবেই মারা যান। " দু দলে ঝগড়া -হাতাহাতি -মারামারি শেষে খুনো খুনি শুরু হতে ওদের হাত ফসকে ফুড়ুৎ করে ফিঙে পাখীর মতো উড়ে এসেছি আমার স্বপ্নের দেশ !  সোনার বাঙলা দেশে ভাইরে তোমাদের দোরে দোরে ভিক্ষে  চেয়ে ফিরি ;   দূর থেকে ছুঁড়ে দেওয়া "এক পশলা ভালোবাসা” বন্ধু ! সেই ভালোবাসা সারা গায়ে মেখে , ভালোবাসার গান গাহিতে গাহিতে চলে যাবো।  কমেন্ট...

দ্রব্যসামগ্রী

শিরোনাম -  দ্রব্যসামগ্রী দ্রব্যসামগ্রী কবি - আজিম আকাশ ধেই ধেই করে বেড়েই চলেছে নিত্য দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য; পৃথিবীর কোন কালেই, কোন পরিস্থিতিতেই, ছিল না এরূপ সমতুল্য। তবে কি ভেবে নেব তা ইতিহাসের পাতায় রেকর্ড ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা, দুর্নীতির তালিকায়- কতবার যে রেকর্ড গড়েছে, তা বিশ্বের কাছে- আজ আর নয় কোন নুতন বারতা। দিন যায় রাত আসে প্রকৃতির নিয়মে সময়ের বিবর্তনে বদলায় রাজনীতির- নীতিনির্ধারক তথা দৃশ্যপট; দিন বদলের পালায় হয় না তৃনমূলদের ভাগ্যের কোন আসু পরিবর্তন, খুলে না রাজনীতির জটিল জট। রাজ্যের যত রত্নরাজি সঞ্চিত হয় রাজার রাজ প্রাসাদের ভান্ডারে, ক্ষুধার রাজ্যে দীন-দু:খিনী ক্ষুধার তরে ধর্না দেয়- ধনীদের রাজ প্রাসাদের দ্বারে দ্বারে। পঁচাশি হাজার গ্রাম-বাংলার- আপামর জনতার চোখে-মুখে আজ কেন হাহাকার, শত আশায় বুক বেঁধে তুব নেই কেন প্রতিকার।   কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

সবকিছুই জাদুঘরে যাবে

সবকিছুই জাদুঘরে যাবে শিরোনাম  -  সবকিছুই জাদুঘরে যাবে কবি  -  মোকসেদুল ইসলাম এখন তো অনেক কিছুই অচল হয়েছে সচল থাকার পরেও হিসেবের খাতা থেকে কবেই হারিয়ে গিয়েছে পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সারও হিসেব এখন আর কেউ করে না। কিছুদিন পর হয়তো এক টাকার কাগুজে নোটটিকেও জাদুঘরে রাখা হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেখানো জন্য। এক আনা, চার আনা, ছটাক আর সিকির হিসেব তো ভুলেই গেছে লোকজন ‘দেখ দাদু ঐ গোলের মত যে পয়সাটা দেখছিস সেটা দিয়ে পাঁচটি লজেন্স কিনে খেতাম আমরা’ এভাবেই হয়তো বলবে কোন বুড়োধাম তার আদরের নাতিকে জাদুঘরে নিয়ে গিয়ে কপালের চামড়া আরও ভাঁজ হয়ে যাবে যখন দেখবে এক সময় স্বর্ণের কয়েন, রূপার কয়েন দিয়ে সওদা হতো দেশে। এভাবেই একদিন সবকিছুই জাদুঘরে যাবে…………….. মানুষের পোশাক, নিত্যব্যবহার্য দ্রবাদি, সভ্যতার থালা-বাসন সব…… শুধু তু্মিই আমার পুরনো কবিতায় ইতিহাস হয়ে রবে। কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

পারভেজ সাজ্জাদ এম এর to Rudra প্রতি রুদ্র

শিরোনাম  to Rudra প্রতি রুদ্র to Rudra প্রতি রুদ্র রুদ্র, কবিতা লেখার স্পর্ধা নেই, তাই একটা খোলা চিঠি লিখছি তোমায়, যেমন তুমি বলেছিলে ভালো আছি, ভালো থেক আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ, বড়ো কষ্টে আছি, নিঃশ্বাসে কষ্ট হয়, অনুভূতি গুলো ভোঁতা হয়ে আসছে, বাংলাদেশে এখন সবাই খুব খারাপ আছে, দেশ তলে তলে ফাঁক হয়ে যাচ্ছে, মানুষ গুলো দলে দলে ভাগ হয়ে যাচ্ছে, বড়ো অস্থির সময়, তুমি কি ভালো আছো? আমরা খুব খারাপ আছি, পূর্ব পুরুষের ঋণের বোঝা, বাড়তি দামে বাড়তি ক্ষুধা, রাজনৈতিক ভাঁড়ামো, ডিজিটাল অত্যাচার, কি বলব মাঝে মাঝে মনে হয় জঙ্গলে চলে যাই, কিন্তু ওদের স্যাটেলাইট সেখানেও পৌঁছে গেছে, যেটুকু মানবিক বোধ এখনও বেঁচে আছে তাও খরচ হয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে । আজকাল আমাদের হাতে আর কিছু নেই, তোমার জামানায় মোবাইল ফোন ছিলনা, আইপ্যাড ছিলনা, হাতে কলম ছিল, চোখে ছিল জ্যোৎস্না, আঙ্গিনায় দু একটা জোনাকি, আকাশে ঘুড়ি, ভেন্টিলেটারে পাখীর বাসায় কিচির মিচির, এখন চড়ুই আসেনা আর, তোমার মতোই অভিমানে চলে গেছে হজমী ওয়ালা, লেইস ফিতা লেইস, লাটিম ওয়ালারাও...

তুমি !

তুমি ! শিরোনাম -  তুমি ! কবি - নাফিস ইমতিয়াজ তুমি কি সেই ? যাকে ঘিরে আমার প্রত্যাশার পারদ শুধু বাড়ছেই , আমার ইচ্ছের ফানুস গুলো এখনও উড়ছে । তোমার এতোটুকু অবহেলা - সেগুলোকে  মুহূর্তেই ভেঙে দিতে পারে । আমাকে না হয় কিছু নাই বা দিলে , শুধু আমার স্বপ্ন গুলোকে বেড়ে উঠতে দাও যেন ওটুকু আঁকড়ে ধরে আমি আজীবন বলতে পারি -- আমার স্বপ্ন কুমারী তার উন্মাদ প্রেমিকের স্বপ্নগুলোকে অবহেলা করেনি ।।   কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

বেখেয়ালী স্বপ্নরা

শিরোনাম -  বেখেয়ালী স্বপ্নরা কবি - মোকসেদুল ইসলাম নাগরিক ভালোবাসার চাঁদ ডুবে গিয়েছে মেঘের আড়ালে অনেক আগেই,  ব্যস্ত শহরে বিস্ময়ে নিঃশব্দে ঝুলে পড়েছে মানবিক বোধ।  জীবনের স্ক্রীনশটে দেখা ধূসর স্বপ্নগুলো ঝরে পড়ে তারা খসার মত করে,  ফুটওভার ব্রিজে দাঁড়িয়ে থেকে কৃত্রিম আলোয় পথ দেখার চেষ্টা করে পথের টোকাই। অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানো অতিথি পাখির মতই নাগরিক জীবন কাটে, দুরুদুরু বুকে ভাঙ্গা বিশ্বাস নিয়ে তবু দুঃসময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায় বাল, ইট-পাথরের এই শহরে এতটুকুও কমেনি বৃষ্টির পরিমাণ শুধু বিদীর্ণ স্বপ্নে মরে যায় সমস্ত আবেগ। তবুও বেখেয়ালী ইচ্ছেরা স্বপ্ন বাঁধে বুকের মাঝ ,  টোকাইয়ের ছেঁড়া বস্তায় কিংবা আবর্জনার স্তুপে। বেখেয়ালী স্বপ্নরা কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

জন্মদাতা

জন্মদাতা শিরোনাম -  জন্মদাতা কবি - আজিম আকাশ ভব মাঝে তব ললিত কায়া সৃজিলেন সযতনে সৃষ্ট্রার ইশারায় যিনি; সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত সেইতো জন্মদাতা তিনি। জন্মদানেই যিনি করেননি তাঁর সকল দায়িত্বের নিষ্ফল সমাপণ; কত কষ্ট-কত গঞ্জনা আর লাঞ্ছনা সয়ে করেন নিয়তির কাছে আত্নসমর্পণ। ভোগ-বিলাস ভুলে, সন্তানের তরে জীবন যুদ্ধে করেন সংগ্রাম আমরণ; তব মুখে ফুটাতে একটু চাঁদের হাসি দু:খকে করেন তিনি সাদরে বরণ। শতবার জীবন যুঝায় লিপ্ত হয় তিনি সন্তানের শির উচু রাখার প্রত্যয়ে; শীর্ণ কায়ায় নির্বিকারে নিঃশেষ হয়ে তবুও স্বপ্ন বাঁধে নির্ভেজাল নির্ভয়ে। পৃথিবীর আয়ুতে তিনি বার বার বেঁচে থেকেও যেন জীবন্মৃত শ্মশাণ; তবু সন্তানের কাছে বিম্বিসার এই ধরার বুকে পায় না ততটুকু সন্মান। এসো মোরা তবে হাতে হাত রেখে- কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করি সতত পণ; পিতার প্রতি সন্তানের অধিকার- নির্দ্ধিধায় করবো প্রতিষ্ঠা অনুক্ষণ।  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

অকিঞ্চন

অকিঞ্চন শিরোনাম -   অকিঞ্চন কবি - শাকিলা তুবা প্রতি বর্ষায় এই শহরে ভিড় জমে রক্ত-কাদা-জল আর ট্রাফিক সার্জেন্টের হুইসেল আবারো ফিরিয়ে আনে রজঃস্বলা মাকে, মায়ের যৌবন স্পষ্ট শুনি ছমছম নূপুরের শিহরণ ঝুম বৃষ্টি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কলকল ছোট বড় সব রাস্তা ছুঁয়ে, বাড়িটির পাশে। জটিল আঁধারেও মুখ ছিল তার শরদিন্দু মোহর দুধের নধর বাটি সারা গায়ে কত যে চিরকুট বুকের এই ভাঁজ ওই ভাঁজে অথচ মেঘজোড়া এই দিন ছিঁড়ে নিতে চায় সব উদ্ভিন্ন মেয়ে কেমন ভিজছে একা দোলনচাঁপা ঝাড়ের তলে। প্রথমে কেউ জানতে চাইল, ‘প্রকৃতি কি অন্ধ?’ কে না জানে? কে না জানে? পৃথিবীই পানাসক্তি দেয় দারুণভাবে মায়ের দুধে, ধানে ধানে; রক্তঝরা দেখে প্রলোভিত কিংবা আশ্বস্ত যৌবনবতী মা জানু পেতে বসে, বারান্দায় দুরন্ত মা মুচকি হাসে, কোমরসমান চুল। ট্রাফিক আইন ভেঙ্গে গড়ায় প্রবল জল বিরহের তাপে একবার কেঁদে উঠি মা, মা বলে আমার চোখের পাশে ডুমো মাছির লাইন শহর বেয়ে ঝরে দুঃখি জল, ওই জলে ভেসে যায় মায়ের যুবতী ফোটো এই প্রতিরোধহীন বৃষ্টি, এবারের বরষা আমার জন্যে নয়।  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স