সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দোহাই তোদের ! মাপ চাইছি

kobita.info
দোহাই তোদের ! মাপ চাইছি
শিরোনাম দোহাই তোদের ! মাপ চাইছি
কবি - শ্যামল  সো


পাগলী ভালোবাসা কী অত  হিসেব নিকেশ--করে হয়?
হায়!  শহরের পার্লারে সাজানো মেয়ে -তুই জানিস না ?
ভালোবাসা যখন হয় তখন তা আপনি হয়,
ভালোবাসা এলে; বলছি ! মন দিয়ে শোন,
প্রথম ভোরের আলোয়, সে দিন ১৯৬৭সাল ১৭ই জানুয়ারী
শীতের কুয়াশায় ঘেরা--
বেতলার জঞ্জলে শীরিষ গাছের আড়াল থেকে
আমার আদরের ফুলমনিকে মনে মনে বলি, " তুর কুচ কালো রূপের কী বাহার!
আহহা ! ফুলমনি তুর ডাগর চোখের চোরা চাউনি
তুফান তোলে, ভরা নদীতে ডাকছে বান, সেই বানের জলে সাঁতরে
মুর কাছে ভেসে আসছিস,
ভাবি--এর নামই ভালোবাসার টান---!
টিলার উপর বসে, ফুলমনি তুকে--
শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখি আর ভগবান প্রনাম জানাই,
কি অপরূপে রূপে গড়েছেন তোকে তিনি !  "
ভাই রাগ করো না, শহরের মেয়েরা ভালোবাসতে, সত্যি তারা জানে না ! বড়  হিসেব করে ছকে খেলে, হেঃ হেঃ যৌবনে পাককা -খেলোয়ার ছিলাম হে !
কাল হলো ঐ নেতার হাট, চাইবাসা-বেতলার সবুজ বনে লাল শাড়ি, খোঁপায় শিমূল. ফুলমনির বাঁধভাঙ্গা ভালোবাসায় উত্তর কলকাতার লায়েক ফান্টুস ফেঁসে গেলাম।
জানি অনেকেই খুব রাগ করবে তবে ভরষা নাগালে--
আমায় আর পাবে না, আমার ছুটি --হয়ে গেছে
আমি ফিরে যাচ্ছি আমার একা ন্ত সেই আপন আলয়।
তোমারা খুব ভালো থাকবে -আমার দোহাঁ আছে।
আমি যাদু জানি আমি ভূলবাসাকে চাইবাসায় নিয়ে গিয়ে মহুয়া
ধামসার তালে তালে হামী লাজবো ফুলমনির কোমর জরিয়ে
গাছে উপর টঙে জোছন আলোয় পলাশ ফুলের বাসরে রেতে
কুপীর  আলোয় ফুলমনি াসলে, চোখে পানি আসবে সুখের
পরশে, ভালোবাসার ছোঁয়ায় রাঙা হইয়ে উঠবে  ফুলমনির মুখ

 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)