সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অকিঞ্চন

kobita
অকিঞ্চন
শিরোনাম -  অকিঞ্চন
কবি - শাকিলা তুবা

প্রতি বর্ষায় এই শহরে ভিড় জমে
রক্ত-কাদা-জল আর ট্রাফিক সার্জেন্টের হুইসেল
আবারো ফিরিয়ে আনে রজঃস্বলা মাকে,
মায়ের যৌবন
স্পষ্ট শুনি ছমছম নূপুরের শিহরণ
ঝুম বৃষ্টি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কলকল
ছোট বড় সব রাস্তা ছুঁয়ে, বাড়িটির পাশে।
জটিল আঁধারেও মুখ ছিল তার শরদিন্দু মোহর
দুধের নধর বাটি সারা গায়ে
কত যে চিরকুট বুকের এই ভাঁজ ওই ভাঁজে
অথচ মেঘজোড়া এই দিন ছিঁড়ে নিতে চায় সব
উদ্ভিন্ন মেয়ে কেমন ভিজছে একা
দোলনচাঁপা ঝাড়ের তলে।
প্রথমে কেউ জানতে চাইল, ‘প্রকৃতি কি অন্ধ?’
কে না জানে? কে না জানে?
পৃথিবীই পানাসক্তি দেয় দারুণভাবে
মায়ের দুধে, ধানে ধানে;
রক্তঝরা দেখে প্রলোভিত কিংবা আশ্বস্ত
যৌবনবতী মা জানু পেতে বসে, বারান্দায়
দুরন্ত মা মুচকি হাসে, কোমরসমান চুল।

ট্রাফিক আইন ভেঙ্গে গড়ায় প্রবল জল
বিরহের তাপে একবার কেঁদে উঠি মা, মা বলে
আমার চোখের পাশে ডুমো মাছির লাইন
শহর বেয়ে ঝরে দুঃখি জল,
ওই জলে ভেসে যায় মায়ের যুবতী ফোটো
এই প্রতিরোধহীন বৃষ্টি, এবারের বরষা আমার জন্যে নয়।


 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা "আমার পরিচয়"

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা  "আমার পরিচয়" শিরোনাম     আমার পরিচয় আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে ,   হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে ,   কোথা থেকে তুমি এলে   ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে। এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে। আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে আমি তো এসেছি   ‘ কমলার দীঘি ’ ‘ মহুয়ার পালা ’   থেকে। আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে। এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে। এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে ...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন