সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভিক্ষা করে ফিরি

kobita.info
ভিক্ষা করে ফিরি
শিরোনাম - ভিক্ষা করে ফিরি
কবি - শ্যামল  সোম
আজ আমি ভালোবাসার তৃষ্ণায় ভয়ানক কাতর
বুকের ভেতর অনবরতই রক্ত ক্ষরণে খয়ে খয়ে
নিরালায়, নির্জনে খুব গোপনে একা একাই কাঁদি !
চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরতে কেউই
পাশে নেই আজ ,সবাই ফিরে গেছে অবহেলে তাচ্ছিল্য ,
হাসি হেসে করুণা করে ঘৃন্য অপমানের পাথর ছুড়ে
মেরেছে আমায়,বিশাল জায়গা জুড়ে আগুন জ্বেলে
সেই অগ্নিকুন্ডে আমায় নিক্ষেপ করে পোড়াতে যাচ্ছিল-
অন্য আর এক দল ছুটে এসে বাধা দিল,
 " না ! বুড়োকে আমারা ঐ হাড়ি কাঠে বলি দেবো বুড়োর রক্তে 
দেওয়ালে দেওয়ালে লিখে দেবো বুড়োরা সাবধান,
বুড়ো বয়ষে ভালোবাসতে চাইলে এভাবেই মারা যান। "
দু দলে ঝগড়া -হাতাহাতি -মারামারি শেষে খুনো খুনি শুরু
হতে ওদের হাত ফসকে ফুড়ুৎ করে ফিঙে পাখীর মতো
উড়ে এসেছি আমার স্বপ্নের দেশ !
 সোনার বাঙলা দেশে ভাইরে তোমাদের দোরে দোরে ভিক্ষে  চেয়ে ফিরি ;
 দূর থেকে ছুঁড়ে দেওয়া "এক পশলা ভালোবাসা” বন্ধু ! সেই ভালোবাসা
সারা গায়ে মেখে, ভালোবাসার গান গাহিতে গাহিতে চলে যাবো।


 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)