সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পুরুষের দাবী আদায়ের এজেন্ডা নেই , আছে কিছু দীর্ঘশ্বাস

শিরোনাম   :  পুরুষের  দাবী আদায়ের এজেন্ডা নেই , আছে কিছু দীর্ঘশ্বাস কবি ; নাগরিক কবিয়াল NK তোমার অশ্রু বিলাপে অপচয়ের জন্যে নয়, জানি , ভেঙ্গে পড়া চলবে না,বয়স্ক পুরুষের চোখে অশ্রু মানায় না , জানি , হতে হবে কর্মে বীর, ধর্মে  ধীর আর সংকটে স্থির , জানি, জানি পাথর আচ্ছাদনে অটল অবিচল হৃদয় যার, সেই সঠিক পুরুষ ,   প্রতিদিন পাহাড় খুদে কুড়োলে জঙ্গল চিঁরে,  কোদালে জমি খুঁড়ে ফসল ফলিয়ে মাঠ থেকে গরু তাড়িয়ে ফিরে পরিবারের নালিশ অনুযোগ, রাতের বিছানায় শরীর নিঙড়ানো পৌরুষের পরিক্ষায় বসা , তারপর পরিবার প্রধান সুলভ ইন্দ্রিয় সচেতন রেখে কিছু ক্ষণের অচেতনতা , এ সবি পুরুষের কাছে পৃথিবীর বহাল কৃত পরম দায়িত্ব, জানি , কিন্তু ক্লান্ত আমার চরন যখন এলোমেলো হয়ে আসে, পেশী যখন প্রবিবাদ জানায়, অনেক জমানো অশ্রু যখন চোখের কোল বেয়ে অজান্তে ঝরে পড়ে দু এক ফোঁটা, ছেলেবেলার মুক্ত ঘুড়ীর মতো জীবন মনে পড়ে যায় বুকটা হাহা করে ওঠে, চলার পথে যদি কোন বন্ধুর প্রিয় মুখ হঠাৎ উদয় হয় , তখন বড্ড ইচ্ছে হয় চলে যাই ওর সাথে কথা বলি অনন্ত কাল , কিন্তু উভয়ের সামাজিক পুরুষ জ...

স্পর্শ যদি

শিরোনাম:  স্পর্শ যদি   ................... কেউ যদি মালা দিত , যদি হাতে রাখত কোমল হাত , হঠাৎ পাল্টে যেত ঋতু , হঠাৎ মৃত পাখী ফিরে পেত প্রান , দুর্গম দীর্ঘ পথ হয়ে যেত মখমলে মসৃণ , সমাধান খুঁজে পেত জটিল অঙ্ক গুলো , আবার স্বপ্ন দেখত এই আঁখিপাত , কেউ যদি ছুঁয়ে দিত হৃদয় , নতুন শব্দের জন্ম হত বাংলা অভিধানে , কোকিল তার গান শুনিয়ে যেত এই নাগরিক জঙ্গলে , বৈশাখের প্রখর রোদ হয়ে যেত সহনীয় , কাঠ খোট্টা ভুগোলের ক্লাস হয়ে যেত মজার । যদি স্পর্শ করে দিত কেউ ভুল আনমনে, ফুটে উঠত শুকনো কলি, ফুল হয়ে , ময়ূর পেখম তুলত শুধু আমাকে দেখাবে বলে । উষ্ণ চুম্বন যদি পেতাম , শিল্পের রাজধানী হয়ে যেত নোংরা ঢাকা । nagorik kobial 23^01^2014

Woh Kagaz Ki Kashti Wo Barish Ka Pani Lyric translation in Bengali অনুবাদ

শিরোনাম ;   Woh Kagaz Ki Kashti Wo Barish Ka Pani Lyrics from Aaj অনুবাদ ; সাজ্জাদ পারভেজ এই ধন নিয়ে নাও এই ক্ষমতাও নিয়ে নাও , নিয়ে যেতে পারো এই যৌবন আমার যদি চাও ছিনি, শুধু ফিরিয়ে দাও সেই কাগজের নৌকো, সেই বরষার পানি । পাড়ার পুরনো ঐতিহ্য নানীর মুখের রুপকথা, সেই রুপকথার পরিদের দেশ , সেই বয়সী চেহারায় যুগের রেখাময় ছাপ । চাইলেও যা ভুলতে পারেনা কেউ, সেই ছোট ছোট রাতের বড়ো বড়ো কাহিনী । কড়া রোদে ঘর থেকে না বেরুনো , সেই পাখীদের কলরব , প্রজাপতির ঘর , সেই পুতুলের বিয়ে নিয়ে খামোখা ঝগড়া , সেই দোলনা থেকে পড়ে যাওয়া ,ফের উঠে দাঁড়ানো , সেই বুনো গাছের কোমল কাঁটা , সেই পড়ে থাকা ভাঙা কাঁচের চুড়ি খানি, সেই কাগজের নৌকো ,সেই বরষার পানি । কখনো বালির ঘর বানানো ,বানিয়ে ভেঙে দেয়া, সেই ঋতু বদলের ছবি আমার , সেই নতুন খেলনার আব্দার আমার , না ছিল দুনিয়ার চিন্তা , না সম্পর্কের টানা পোড়েন , কি সুন্দরই না ছিল সেই জীবন আমার জানি, সেই কাগজের নৌকো , সেই বরষার পানি । 

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য

শিরোনাম ; ছাড়পত্র           - সুকান্ত ভট্টাচার্য   যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুম: সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক, নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার জন্মমাত্র সুতীব্র চীৎকারে। খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত উত্তোলিত, উদ্ভাসিত কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায়। সে ভাষা বোঝে না কেউ, কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার। আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি সে ভাষা পেয়েছি নতুন চিঠি আসন্ন যুগের- পরিচয়-পত্র পড়ি ভূমিষ্ঠ শিশুর অস্পষ্ট কুয়াশাভরা চোখে। এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান; জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে। চলে যেতে হবে আমাদের। চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য ক'রে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। অবশেষে সব কাজ সেরে, আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে করে যাব আশীর্বাদ, তারপর হব ইতিহাস।।

Afim Tobuyo Valo, Dhormo She to Hemloc- Rudra Mohammad Shahidullah

শিরোনাম ; আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলক বিষ যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ       তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা। জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে ক্রমশঃ উঠছে ফুটে ক্ষয়রোগ, রোগের প্রকোপ একদার অন্ধকারে ধর্ম এনে দিয়েছিল আলো, আজ তার কংকালের হাড় আর পঁচা মাংসগুলো ফেরি কোরে ফেরে কিছু স্বার্থাণ্বেষী ফাউল মানুষ- সৃষ্টির অজানা অংশ পূর্ণ করে গালগল্প দিয়ে। আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলক বিষ। ধর্মান্ধের ধর্ম নেই, আছে লোভ, ঘৃণ্য চতুরতা, মানুষের পৃথিবীকে শত খণ্ডে বিভক্ত করেছে তারা টিকিয়ে রেখেছে শ্রেণীভেদ ঈশ্বরের নামে। ঈশ্বরের নামে তারা অনাচার করেছে জায়েজ। হা অন্ধতা! হা মুর্খামি! কতোদূর কোথায় ঈশ্বর! অজানা শক্তির নামে হত্যাযজ্ঞ কতো রক্তপাত, কত যে নির্মম ঝড় বয়ে গেল হাজার বছরে! কোন্ সেই বেহেস্তের হুর আর তহুরা শরাব? অন্তহীন যৌনাচারে নিমজ্জিত অনন্ত সময়? যার লোভে মানুষও হয়ে যায় পশুর অধম। আর কোন দোজখ বা আছে এর চেয়ে ভয়াবহ ক্ষুধার আগুন সে কি হাবিয়ার চেয়ে খুব কম? সে কি রৌরবের চেয়ে নম্র কোন নরোম আগুন? ইহ...

ভবদীয়

শিরোনাম :  ভবদীয়   কবি গোলাম মাসুম (জিকো) জলে ছুড়ে ফেললে  নদীতে ভাসাবো শরীর - নদীতে ভাসবো নদীতে ছুড়ে ফেললে সমুদ্রে ভাসাবো শরীর - নীল জলে ভাসবো গৃহছাড়া করলে থাকবো অরণ্য আশ্রয়ে, ডালে ডালে ডাল কাটলে শিকড়ে  শিকড় উপড়ে ফেললে মৃত্তিকা আশ্রয়ে  তারপর পোকা থেকে পোকা  হাত এবং হাত, পা থেকে পা নবজাতক যদি হই, হামাগুরি দিয়ে হলেও তোমার কাছে পৌঁছাবো এক পৃথিবী আলোর সন্ধানে  জোনাকী পোকার পিছে ঘুরি অবিরাম এক পৃথিবী সবুজ দেখবো বলে  শেওলা পড়া দিঘীর দিকে তাকিয়ে থাকি পলকহীন  আজ যদি বিমুখ করতে চাও - চাইবো চুম্বন  আজ যদি অবহেলা করতে চাও - চাইবো আলিঙ্গন  পথে পথে হাটবো তবুও তোমার কাছে পৌঁছাবো রোদে রোদে হাটবো তবুও তোমার কাছে পৌঁছাবো জড়িয়ে, চাইবো চুম্বন এবং কাশবন ১৯৯৯/২/৫ @ আরামবাগ, ঢাকা www,zics.me

সূর্য হয়ে উঠতে -parvez sazzad

শিরোনা ম

surjo hoye uthte/সূর্য হয়ে উঠতে

শিরোনাম :  সূর্য হয়ে উঠতে কোনও একদিন সূর্য হয়ে উঠবো বলে , ৩৬ বছর সলতের নিভু নিভু আগুন বাঁচিয়ে রেখেছি । কোনও একদিন সূর্য হয়ে উঠবো বলে, অপমান ,অপবাদ সহ্য করেছি এতোগুলো বছর । নাম ঠিকানাহীন মানুষের সমুদ্রে ডুবুরীর মতো গোপনে , বঞ্চনা আর ধিক্কার ভুল নামে ডাকা সহ্য করেছি , প্রানপ্রিয় মানুষগুলোর মুখের দিকে ভালো করে চাইনি । তোমাদের পদাঘাতে ভুল ভেঙ্গে গেল আজ , বুঝিবা সম্বিত ফিরে পেল বেহুঁশ মাতাল কোনও । একদিন সূর্য হয়ে উঠবো বলে আর সাধনায় মগ্ন থাকবনা , তোমাদের কাছে দাবী নিয়ে আর কোনও দিন মুখোমুখি হবনা , আমি কবর খানায় মৃত সঙ্গীর সাথে ফসফরাসের রহস্যময় আলো হয়ে যাবো ।   কোনও দিন আমার কবরের পাশ দিয়ে যাবার সময় , ভয়ে নিজেকে গুঁটিয়ে নিওনা , ভূত আমি হবনা , অদ্ভুত সেই ফসফরাসের আলেয়ায় তুমি প্রেম বিরহ খুঁজে পাবে , বিদ্রোহ ,ক্ষোভ ,প্রতীবাদ খুঁজে পাবে , কবির মৃত্যু হতে পারে ,কবিতার না । pasa/112014