সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পুরুষের দাবী আদায়ের এজেন্ডা নেই , আছে কিছু দীর্ঘশ্বাস

শিরোনাম   : পুরুষের  দাবী আদায়ের এজেন্ডা নেই , আছে কিছু দীর্ঘশ্বাস
কবি ; নাগরিক কবিয়াল NK


তোমার অশ্রু বিলাপে অপচয়ের জন্যে নয়,
জানি ,
ভেঙ্গে পড়া চলবে না,বয়স্ক পুরুষের চোখে অশ্রু মানায় না ,
জানি ,
হতে হবে কর্মে বীর, ধর্মে  ধীর আর সংকটে স্থির ,
জানি,
জানি পাথর আচ্ছাদনে অটল অবিচল হৃদয় যার,
সেই সঠিক পুরুষ ,  
প্রতিদিন পাহাড় খুদে কুড়োলে জঙ্গল চিঁরে,
 কোদালে জমি খুঁড়ে ফসল ফলিয়ে
মাঠ থেকে গরু তাড়িয়ে ফিরে পরিবারের নালিশ অনুযোগ,
রাতের বিছানায় শরীর নিঙড়ানো পৌরুষের পরিক্ষায় বসা ,
তারপর পরিবার প্রধান সুলভ ইন্দ্রিয় সচেতন রেখে কিছু ক্ষণের অচেতনতা ,
এ সবি পুরুষের কাছে পৃথিবীর বহাল কৃত পরম দায়িত্ব, জানি ,
কিন্তু ক্লান্ত আমার চরন যখন এলোমেলো হয়ে আসে,
পেশী যখন প্রবিবাদ জানায়,
অনেক জমানো অশ্রু যখন চোখের কোল বেয়ে অজান্তে ঝরে পড়ে দু এক ফোঁটা,
ছেলেবেলার মুক্ত ঘুড়ীর মতো জীবন মনে পড়ে যায় বুকটা হাহা করে ওঠে,
চলার পথে যদি কোন বন্ধুর প্রিয় মুখ হঠাৎ উদয় হয় ,
তখন বড্ড ইচ্ছে হয় চলে যাই ওর সাথে কথা বলি অনন্ত কাল ,
কিন্তু উভয়ের সামাজিক পুরুষ জীবন ধারায় শান দেয়া বাক্তিত্ত যখন,
 উভয়ের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ,
তখন কয়েকটা শুষ্ক বাক্য বিনিময় শেষে আপন গন্তব্যে রওয়ানা হতে হয় তখন বুক ভেঙ্গে যায় । জীবন যুদ্ধে আর কত বিসর্জন দিলে পৌরুষের পরীক্ষায় পাশ হবে ! গলা ছেড়ে কাঁদব বলে নির্জনতা খুজি ,
পাইনা ,
কোথায় পাব হৃদয়ের বোঝা খালাস করার একান্ত পরিবেশ !
তাই চলতে হয় জন্মগত পুরুষ দেহ নিয়ে ,
 চলতে হয় অন্নের সন্ধানে ,চলতে হয় প্রিয় নারী ,
প্রিয় মানুষ গুলোর আস্থা হয়ে ,
 পাহারাদার কুকুরের মতো ,
নিরাপদ বাসস্থানের ছাউনির মতো ,
 প্রতিদিন সহকর্মীর সাথে টিকে থাকার প্রতিযোগিতায়,
 পুরুষ শাসন যদি হয় সমাজের বর্ণনা তবে ,
সেই সংকীর্ণতার পেছনে থাকবে অনেক ঘামের বিন্দুর গল্প সব,
 থাকবে বলিদানের ইতিহাস ,
তবুও যদি করো ভালোবেসে কোন অন্যায় আব্দার খুশী মনে করব পালন ।   
NK/২০১৩-১১-২৭ 
kobita info

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)