সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আঁরি মিশোর কবিতা

আঁরি মিশোর কবিতা
আঁরি মিশোর কবিতা
শিরোনাম সরলতা
এতকাল যাবৎ আমার জীবনে যে জিনিসটার অভাব ছিলো
সেটা হলো সরলতা। এখন আমি একটু একটু করে পাল্টাতে শুরু করেছি।
যেমন ধরুন, এখন আমি সর্বদাই বাইরে বেরুই আমার বিছানাপাতি
সঙ্গে নিয়ে, আর কোনো নারীকে পছন্দ হলেই তাকে বিছানায় নিয়ে নিই।
তার নাক বা কানগুলো যদি কুৎসিত বা বড় বড় হয়, সেগুলো আমি তার
কাপড়চোপড়ের সাথে খুলে নিয়ে বিছানার নিচে রেখে দিই, যাতে করে
যাবার সময় সে সেগুলো ফেরৎ নিয়ে যেতে পারে। আমার যা পছন্দ আমি
শুধু সেটাই রাখি।
যদি তার অন্তর্বাস পাল্টানো লাগে তক্ষুনি আমি সেগুলি পাল্টে দিই।
এইগুলিই হলো আমার উপহার। কিন্তু যদি দেখি আরো সুন্দরী একটা নারী
যাচ্ছে, তক্ষুনি আমি প্রথমটার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে হাওয়া করে দিই।
লোকজন যারা আমাকে চেনে তাদের ধারণা, এতক্ষণ যা বলেছি সেটা
আমি পারবোই না, সেটা আমার স্বভাবই নয়। নিজের সম্পর্কে আমারও
একসময় তাই ধারণা ছিলো, তবে তার কারণ হলো তখন আমি
যা-পছন্দ-তাই করতাম না।
এখন আমার বিকেলগুলো অসাধারণ। (সকালের দিকে আমি কাজকর্ম করি।)


 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মতামত দিতে ভুলবেন না কিন্তু

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)