সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রিক্ত হস্ত

kobita.info
রিক্ত হস্ত  
শিরোনাম     রিক্ত হস্ত                


রিক্ত হস্তে যেও না বেশি দূর
কন্ঠহীন কন্ঠে, কেন অলীক খ্যাতির
তরে সমাজে আকন্ঠ তোমার সুর?
খ্যাতির জন্য ঠিক যতটুকু প্রয়োজন
নিজেকে গড়ো তুমি সেভাবে,
ত্যাগের মহিমা ছাড়া, ক্লেশহীন নিষ্কন্টক।
করো না অযথা নিজেকে-
যশ-খ্যাতির তালিকায় আত্নপ্রকাশ;
সে খ্যাতি টিকবে না ধোপে
তা শুধু অসুস্থ সংস্কৃতির বহি:প্রকাশ।

পুঁজিবাদী  যারা তোমাদের সম্বল
করে শূন্য পকেট করে ভারী,
দিবা-রাত্রি ভর অসংখ্য চ্যানেলে চলে
অপ-সংস্কৃতির অশুভ আয়োজন;
তোমাদের মেধাহীন নির্লজ্জ আত্নপ্রকাশের-
কাছে বার বার প্রকৃত মেধার হয়
প্রশ্নবিদ্ধ নিশ্চিত বিভাজন।

চোখের দৃষ্টি যেন ফিকে হয়ে আসে
তোমাদের আকাশ সম-
স্বপ্ন দেখার কসরত দেখে,
হয়তো কিছুটা বাহবা,
তোমার জীবনের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়
অগ্রগামী এক অন্য পথের পাথেয় রূপে,
কিন্তু যেনে রেখো তা শুধু ক্ষণতরে;
তাই দু’একটা অডিও এ্যালবাম কিংবা
কিছু সময়সাপেক্ষ ষ্ট্যাজ পারফর্ম করার পর
হারিয়ে যাও রুগ্ন সংস্কৃতি থেকে চিরতরে।

তোমাদের মত ক্ষুদে-বড় মেধাহীন
ছালমা, নোলক কিংবা বিউটি গড়েন যারা,
তাদের রিক্ত পকেটগুলো আজ-
এসএমএস বাণিজ্যে হচ্ছে রাতারাতি সয়লাব;
শূন্য কলস কত আর বাঁজবে ঢং ঢং
কতকালই বা করবে মিথ্যে দিয়ে জয়লাভ?

অথচ যারা আজীবন সংস্কৃতি চর্চায়
নিজেকে উজাড় করেছেন সদা আমরণ,
তাদের আনাগোনা আজ কেবলই
কালেভদ্রে, অতিথি পাখির মত;
তাদের কন্ঠে বিচরণ করে-
আজ কত না দু:খ অবিরত।

কবি ঃ আজিম হোসেন আকাশ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)