সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

চল পাগলী পালাই

শিরোনাম : চল পাগলী পালাই
 কবিঃ        শ্যামল  সোম বাঁশিওয়ালা

হেমন্তে গহীন অরণ্যে
পিঁউ কাঁহা পাখি ডাকে
সুন্দরবনে চলরে পাগলী
আজ শীতার্ত রাতেই
আজ রাতেই চল পাগলী পালাই
আর কত কাল এ নিঃসঙ্গ কাটাই।
জাত বয়স ধর্ম বিস্ফারিত স্বদেশ
পরবাসে দুজনে দুজনার  প্রবাসে
পরস্পরের  থেকে বিছিন্ন প্রয়াসে।
সামাজিক কঠোর শাস্তির খড়্গ এ
সালিশী সভায় কোন বক্তব্য না শুনেই
গণ প্রহার গাছে বেঁধে প্রেমিকের ক্রোধ
প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, কিসের প্রতিশোধ
প্রতিদিনই প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত গ্লানিময়
মানবিকতার বিরুদ্ধেই অমানুষদের নিত্য   
প্রতিরোধ  অহংকারের হুংকার  আস্ফালন
আধুনিক এই শহরের যান্ত্রিক যাপিত জীবন।
প্রতিবেশীর নিঃসহায় নিপীড়িত নিঃসঙ্গ
স্পৃহা হীন উদাসীন স্বার্থপর  আত্মীয় স্বজন
 এ তো জীবনের প্রহসন, মুক্তির আস্বাদন
নিজস্ব  আমাদের পরমাণু শক্তির কোপনলে
 ধ্বংসের  আগেই চলরে পাগলী সেই গহিন অরণ্যে
 হিমালয়ের গুহায় প্রস্তর যুগে ফিরে
আরণ্যক জীবন যাপন করতেই চলরে এবার পাগলী পালাই,
এতো আমাদের স্বাধিকার লড়াই।
চল যাই সকল মানুষের মিছিলের পাশে
শান্তির অগ্রদূত বাংলা কবিতা আশ্বাসে।
বাংলা কবিতা আমাদের সঠিক পথের
দিশারী, নিশ্ছিদ্র সতর্কতা সৈনিক কবিতা
সৌহার্দ সম্প্রীতি মানবতার প্রতীক স্বরূপ
আমাদের বাংলাভাষী গর্বের বাংলা কবিতা
হোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ দেশান্তরের  এই
বাংলা কবিতার  আজ জয় জয় ও জয়কার ।


চল পাগলী পালাই
চল পাগলী পালাই
 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)