সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আজাদ বাঙ্গালীর কবিতামালা

কার জন্য আপনি এতো রাত জেগে থাকেন?
ভেবেছেন কি রাত জাগলেই আপনি তাকে পাবেন?


ভাবছেন কি মন পাওয়া এতোটাই ইজি?
ডিজিটাল যুগ মনটা ফেসবুকেই থাকে বিজি

জানেন না চিঠি লিখার দিনটা এখন শেষ?
আপনিতো দেখছি এনালগেই রয়ে গেছেন বেশ!

ফেলে আসেন খাতা-কলম, চলেন পার্কে যাই
রেস্টরেন্টে ঢুকে পড়েন পিৎজা চাইনিজ খাই

হলো আমার আক্কেল গুড়ুম কবিতা কি বলে?
এযুগেও আমার এনালগি মন, কবিতা ডিজিটালে!

আজাদ বাঙ্গালীর কবিতামালা
আজাদ বাঙ্গালীর কবিতামালা 
কত সময় কাটিয়েছি
কৃষ্ণচূড়ার তলে
লম্প ঝম্প ছুটোছুটি
দামাল কিশোর দলে

হারিয়ে গেছে কৈশর এখন
পিষ্ঠ ব্যস্ত চাকার তলে
বুক ভেসে যায় চোখের জলে
স্মৃতি মনে হলে
সাগর তার বুক চিরে
বলতে পারেকি কখন?
তার বুকে যে লুকায়িত
আকাশ ছোয়ার স্বপন
তাইতো সে বারে বারে
উপছে ছুড়ে ঢেউ,
অধম্য তার এইযে ছোড়া
বুজেছি কেউ?

আবার আকাশ স্বপ্ন দেখে
সাগর ছুতে হবে
তাইতো তার বুক চিরে জল
সাগর জলে ফেলে

এভাবেই দুয়ের স্বপ্ন পুরণ
স্বপ্নের মেলামেশায়
একটুখানি তৃপ্তি পায়
আপন চাওয়া-পাওয়ায়
অন্তরে দ্বীপ
দ্বীপ জেলা ভোলা নাম
অন্তরে বরিশাল
খাল-নদী ছড়িয়ে আছে
মনে হবে জাকিজাল

ভোলাইয়া বলে কেউ
কেউ বরিশাইল্যা
খামাকাই তর্ক বাঁধে
কিছু না জাইন্যা

ভুলে যায় কীতির্মানের কথা
সপ্তবীরের এক নাম
বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে
ভূষিত মোস্তফা কামাল

গুণি কবি কম নয়
আমাদের মোজাম্মল হক
এক নামে পরিচিত
বাংলা সাহিত্যে অবদান

সাগরের কোল ঘেষে
আমার মাতৃ দ্বীপটি
সবুজের মাঝে গড়া
গাঙচিলের ঝাপটি

বঝেছেন সেজন
সেরা মনে গড়া
অস্কারে সেরা নাম
আমার মনপুরা


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)