হাঁটছি – পাবলো নেরুদা প্রায়শ এমন হয়-নিজেকে মানুষ ভাবলে বমনেচ্ছা হয় হেঁটে যাই দর্জির দোকান আর সিনেমাহলের ভিতর দিয়ে শুকিয়ে ওঠা , জলনিরোধক , পশমী কাপড়ের তৈরি একটি রাজহাঁ স নিয়ন্ত্রণ করছে আমার পথ ছাই আর জরায়ূর জলে। নাপিতের দোকানের গন্ধ আমাকে ঠেলে দেয় ঘোড়ার কান্নার ভিতরে আমি কেবল পাথর কি পশমের মতন স্থির শুয়ে থাকতে চাই আর আমি দোকান আর আমি বাগান দেখতে চাই না দেখতে চাই না পন্য , চশমা , লিফট। প্রায়শ এমন হয়- আমার পা ও নখের ওপর ঘেন্না ধরে যায় আর আমার চুল আর আমার ছায়ায় বমনেচ্ছা হয় । প্রায়শ এমন হয়-নিজেকে মানুষ ভাবলে বমনেচ্ছা হয়। এখনও বিষয়টি চমৎকার হতে পারে সুন্দর লিলি ফুল দিয়ে একজন আইনের কেরানিকে ভয় দেখানো অথবা কানে আঘাত করে সন্ন্যাসিনীকে খুন করা বেশ হয় সবুজ চাকু নিয়ে হেঁটে গেলে রাস্তায় ঠান্ডায় মরার আগে তারস্বরে চিৎকার করলে। অন্ধকারে শিকড় হতে আমি চাইনা অনিশ্চিত , ছড়ানো , ঘুমের সঙ্গে শিউরানো নীচে নেমে যাওয়া , একেবারে পৃথিবীর ভেজা-ভেজা নাড়িভুঁড়িতে ভিতরে নিতে নিতে ভাবা , প্রতিদিন খাওয়া। আমি এত দুঃখযাতনা চাইনা। সমাধি ও শিকড়ের মতো আমি...
সব কবি , সব কবিতা