সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বহতা

kobita
বহতা
শিরোনাম বহতা

হাসান ইমতি

নতুন প্রত্যাশা রাঙানো মানব জন্মের বিধিলিপি,
সুখ দুঃখের ঘাত প্রতিঘাতময় জীবনের সন্তরণ,
মানবিক কাম ও প্রেমের প্রনয় পরিণয় অথবা
এক জীবনের বেলাশেষে মৃত্যুর অন্তিম শীতলতা
সবই সদা বহমান সময়ের সমতল সাগর বুকে
বৃষ্টি ফোঁটার এক একটি ঝরে পড়া সাময়িক আলোড়ন ...
হয়তো সময় কখনো কখনো কারো কারো জন্য থমকে যায়,
সে কখনো কারো জন্যই মুহূর্তকাল থেমে থাকে না ...
সুখের প্রহরগুলো যেন মোমের মত গলে ঝড়ে যায়
বুক উথাল পাথাল করা কষ্টের চোরাস্রোতও বিস্মরণের
অতল গর্ভে চাপা পড়ে সামনে এগিয়ে চলে পথচলা ...
মৃত্যুর করাল গ্রাসে ক্ষয়ে যায় ব্যক্তিমানুষ তবু
উত্তর পুরুষের রক্তে বেঁচে থাকে মানবজাতি
ব্যক্তি মানুষ বেঁচে থাকে তার অমর কাজ ও
ব্যক্তি মানুষ বেঁচে থাকে মানুষের স্মৃতিতে ...
লাভ ক্ষতির আস্থাবর ভাবনার কারাগারে বন্দী সময়েও
অনাবশ্যক স্মৃতিকাতর রোদ কখনো কখনো ঝলসে দেয়
জৈবিক বিষয় ভাবনার দিগন্তহীন আকাশ...
কিছু কিছু অপূরণীয় শুন্যতা সময়ে শুধু তার গভীরতা বাড়ায়
কিছু কিছু হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখ অনন্তকাল বেঁচে থাকে বেদনার অনুষঙ্গে ...

 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মতামত দিতে ভুলবেন না কিন্তু

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)