সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অভেদ আত্মা

শিরোনাম অভেদ আত্মা
bangla kobita
অভেদ আত্মা


                ডা: প্রবীর আচার্য্য নয়ন
তুমি আমি অভেদ বলে অভিন্ন চিন্তায়
হারায় যামী প্রভাত হলে নতুন কবিতায়
রবির কিরণ ঘটায় মিলন হয়ে ফুলের সাথী
ফুলের গন্ধে নাচে ছন্দে রঙিন প্রজাপতি
আসে অলি ফোটে কলি জানায় আমন্ত্রন
তুমি আমি মিলেই তো হয় সকল আয়োজন
ফুটবে মুকুল ঝরবে বকুল ভরবে ফুলের ডালা
শরৎ এলে শিউলি তুলে গাঁথবে ফুলের মালা
আগুন ঝরা কৃষ্ণচুড়া ফাগুন নিয়ে আসে
বেদম চাপে কদম ফাঁপে বর্ষাতে তাই ভাসে
গ্রীষ্মকালে আম কাঁঠালে মাছির কলরব
নানান ভাবে নানান তালে আনন্দ উৎসব
সেসব শুধু ভালো লাগে তুমি সাথী হলে
মনে হাজার ছন্দ জাগে তোমার পরশ পেলে
তোমায় পেলে কোকিল ডাকে বসন্ত গীত গায়
জোড়া শালিক বসে থাকে হিজলের শাখায়
তোমার বাণী সুর ও ধ্বনি শ্রবণ যন্ত্রে বাজে
সারা দিনই সে সুর শুনি আমার সকল কাজে
আমার হাতে দুহাত রাখ সাথী হয়ে সাথে থাক
মোর নয়নে নয়ন রাখ লাগবে ভীষণ ভালো
শিলার বুকে কী নাম লেখা বাইরে থেকে যায় কি দেখা
জমাট বুকে আছে রাখা অসীম আঁধার কালো
কালো চোখের আলোয় লোকের ঘুচবে মনের ধাঁধা 
আত্মা মোদের একই বীণায় একই সুরে বাঁধা
একই মন্ত্রে দীক্ষিত তাই হে মোর নবনীতা
তোমার রঙে রাঙিয়েছি মোর নতুন কবিতা
কোমল তুলির পরশ দিয়ে গড়ি নতুন রূপ
সরব সভা তোমায় দেখে একেবারে চুপ।
 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)