সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বড় প্রয়োজন

kobitaশিরোনাম বড় প্রয়োজন
                  আজিম আকাশ

(কাজী নজরুল ইসলাম পরম শ্রদ্ধেয়)

এখন বড় প্রয়োজন বিদ্রোহী কবির
সেই আগুন ঝরা শাণিত বাণী,
চারিদিকে দিকবিদিক ঘোর অন্ধকার
আঁধারের আবর্তেই সকলের পথ চলা,
চলছে দুর্বার-দুর্দম-অপ্রতিরোধ্য গতিতে
প্রভাত-দুপুর-সান্ধ্য কিংবা নিস্তব্ধ নিশিতে।
কার হস্তে আছে গোটা দেশ আলোকিত
করার সঠিক আলোর সুবর্ণ বর্তিকা,
কে করবে ঘোর অন্ধকার থেকে জাতির
কলঙ্ক লেপনের ঋজু পথ উন্মোচন;
তাই বার বার কেন যেন মনে হয়
তোমাকেই জাতির বড় প্রয়েয়োজন।
কত দু:খ-যাতনা, কত গঞ্জনা সয়েছ
তুমি জাতির তরে-কবিতার তরে,
দারিদ্রের সাথে করেছ আপোসহীন যুঝি
সত্যকে চির প্রতিষ্ঠিত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে;
অনাচার ব্যধি সমাজ থেকে নির্মূলের তরে
অবরুদ্ধ ছিলে কারাগারে সৌষ্ঠবে-নির্ভয়ে।
জাতির বিবেক আজ মাথা ঠুকে মরে
ডিজিটাল ছোঁয়ায় প্রযুক্তির দেয়ালে,
সভ্যতার ক্রমবিবর্তনে শিল্পের আকাশ জুড়ে
আজ অগণিত নক্ষত্র তথা কলম সৈনিক,
তবু মম হৃদয় যাচে হাজার সৈনিকের ভিড়ে
একটি ক্ষুরধার সৈনিকের নিষ্কন্টক সাদর উপস্থিতি;
যা বদলে দিতে পারে রুগ্ন জাতির গোটা পরিস্থিতি।


 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)