সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তুমি আসবে

bangla kobita
তুমি আসবে
শিরোনামতুমি আসবে
কবি - শাহরুখ কবীর

দূর- বহুদূর হ্রদের উপর দিয়ে উড়ে আসা  নীল প্রজাপতিটা
তার রঙ- বেরঙের ডানায় করে বয়ে এসেছিল সুখবর-
তুমি আসবে ।

তারপর !
তারপর তুমি আসবে- আসবে করে কেটে গেছে কত ফাল্গুন,
কত  বসন্ত;
তবুও মিললোনা তোমার দেখা।

আজ দ্যাখো-
রক্ত পলাশটা সব রক্ত ঝরিয়ে রিক্ত- শুন্য;
এখন সাদা ফুল ঝরে ওটায় ।

কত শীত পার হয়ে বসন্ত এল-
বৃক্ষসব নতুন পোশাক বানিয়ে রেখেছে সেই কবে!
পরা কিছুই হলনা তাদের ।

বরষার কান্নাগুলো সব জমে আছে হিমালয়ের চূড়ায়
পাহাড়ের সাথে তাদের প্রেম বুঝি এ জীবনে আর হলোনা !

নীলাম্বরীটার গর্জনে এখন নেই সফেদ ফেনা-
সেখানে আজ শুধুই ধু-ধু লবন !
সাদা লবণগুলো নীল জল শুষে হারিয়েছে তাদের স্ববর্ণ ।

আর আমি-
এইত চলে যাচ্ছে দিব্যি !
বহুদিনের আকাটা দাঁড়ি- গোঁফে পয়সা বেঁচে যাচ্ছে বেশ।
বাঁচানো পয়সায় নিকোটিনের মজা লুটছি চরম আহ্লাদ- হর্ষে ।

তবে খানিকটা দুঃখ কি জানো-
কার্বন প্রলেপ জমে তোমার আগমনী চিরকুটটা কালচে- মলিন হয়ে গেছে অর্ধেকখানা।

তবে পাঠাও না আ’রেকটি নতুন গান- পাখির কবিতা,
বেঁচে থাকি আরও কিছু আশায়-
তুমি আসবে... তুমি আসবে... তুমি আসবে...



 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)