সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৃষ্টিস্নাত শব্দেরা

শিরোনামবৃষ্টিস্নাত শব্দেরা
bangla kobita
বৃষ্টিস্নাত শব্দেরা

কবি - আমিন পরবাসী

কাল রাতের নির্জনে এক পশলা বৃষ্টি এসেছিলো,
নীল অন্ধকার ঘরে, বিনা অনুমতিতেই-
ধুয়ে দিয়ে গেছে ধুলোপড়া শব্দগুলোকে।
বৃষ্টির মৃদু গুঞ্জনে প্রতিটি শব্দ পেয়েছে স্বচ্ছতা,
এতটাই স্বচ্ছ যে, অনায়াসে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো-
পশ্চাতে দাঁড়ানো হিজল তলার ভোর,
নোনাধরা নীল পোশাকে পরাধীনতার সুর।
কত না মধুরতায় চতুর বিকালের স্রোত বয়ে যায়,
যুগলের তত্ত্ব কথায় মৃত্তিকা আবার প্রাণ ফিরে পায়।

হঠাৎ করেই শব্দগুলো নড়ে উঠে,
ঘরময় শুরু হয় তাদের ছুটোছুটি,
মুক্তির দাবিতে প্রকম্পিত করে ঘরের প্রতিটি স্তম্ভ।
আমি অনিমেষে তাকিয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ-
নির্বাক হয়ে "ভালবাসা" নামক শব্দটির দিকে।
পেলব কন্ঠে বলেছিলাম,
"আমি তো তোকে ভালবেসে তোর ধুলোমাখা শরীর নিয়ে বেঁচে ছিলাম,
আজ তুই ও কি মুক্তি চাস?"

উৎকর্ণ হয়ে শুনেছিলো আমার অস্পষ্ট ব্যাক্যগুলো,
অতঃপর চিৎকার করে বলে উঠে,
"কাপুরুষের ভালবাসা! আদৌ কি পেরেছিলে ভালবেসে-
আমাকে গুঁজে দিতে কোনো একটি কবিতার ক্ষুদ্র চরনে?"

 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)