সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অন্তর্জ্বলি এ যাত্রায়

শিরোনামঅন্তর্জ্বলি  এ যাত্রায়
bangla kobita
অন্তর্জ্বলি  এ যাত্রায়

 কবিশ্যামল সোম
অন্তহিন অভিমানে  পুড়ছে মন, সুখ স্মৃতির দহনে  গলছে সুখ, 
নীল বসনা ললনা এই সুখ সায়রে  তোমারিই  আজ ভাসছে মুখ। 
এখন এই অলস সকাল  গড়িয়ে ঝরছে  আগুন, বাড়ছে  তাপ 
সে দিনের  স্পর্শের  গভীরতায়  এই ক্ষণে  সন্তারিত  সন্তাপ। 
নি র্জনে  একাকী এ সন্তরণে  অতল  জলে  ভাসছে  আমার  শব 
আনমনা নিঝুম  দুপুরে- ঘুঘু  নিশ্চুপ, থেমে গেছে  পাখীদের. কলরব।
 
তোমার  শরীরের ঘ্রাণ  এখনও  অম্লান, বহিছে ব্যাকু ল  বাতাসে,   
চুম্বনের   স্বাদ ফেরে  হীমেল হাওয়ায়শীতল  মৃর্ত্যুর ছোঁয়ায়  ভাসে।  
পূ র্ণিমায় জ্যো স্নায়  স্নাত সিক্ত বসনেহে প্রেম ! বহুকাল আগে  চলে, 
প্রচ ন্ড ঝরে  ভেঙ্গে গেছে  নী ড়, সহবাসের অতৃপ্ত আকা ঙ্খায় ফিরি জনে  
জনে ভেবে তোমারই. শরীর। 
শীতার্থ ঝির ঝির  বৃষ্ঠির সাথে, গাছ হতে পাতা  ঝরে যায়, অবসন্ন এই ক্ষনে, 
প্রতিক্ষণে অন্তিম বেঁচে থাকার আশা; দীর্ঘায়িত  হা-হুতাশ বড় ক্লান্ত এ জীবন।
বেলা  শেষে গোধূলী আলোয়, তুমি  একবার শিয়রে এসে দাঁ ড়াও এই  শেষবার,
হাতে নিয়ে  জ্বলন্ত মোমবাতি, আর  শুভ্র  কাফনউষ্ণ পরশ বিছিয়ে  দিও,
হীম শীতল মৃত শরীরে  আমার।


কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)