সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুরঞ্জণা তুমি ফিরে গেছো

kobita
সুরঞ্জণা তুমি ফিরে গেছো
শিরোনাম সুরঞ্জণা তুমি ফিরে গেছো
কবি- শ্যামল সোম 

ঘনবর্ষায় অঝরে ঝরছে বৃষ্টি, ঝিলের পা ড়ে গাছের তলায়
তোমার চোখে চোখ রাখতেই দেখে  ছিলাম আমার স র্বনাশ;
বাদলা হাওয়ায় থরথরিয়ে কাঁপছিল তোমার সোনার বরণ শরীর,
সারা মুখে লাজে রাঙা-আলোর হাসি, অপরূপ রুপের এই মাধূরী
আকাশে ঝলসে উঠছে বিদ্যূৎ  শিখা আলোয় আলোময় চারিদিক।
বাজ প্ড়ার আওয়াজ শুনে ভয়ে তুমি কান চেপেছো, দুহাত বা ড়িয়ে
 দিলাম তোমার দিকে, 
ছুটে এসে বুকে জোরে জ ড়িয়ে ধরলে আমায়।
শ্রাবণের ধারার মতো অবিরাম ঝরছিলো জল, 
এত দিনের সব অভিমান অনুযোগ, অপরাধ-যাতনা অশ্রু আর বৃষ্টিতে ধূয়ে যায়, 
গভীর চুম্বনে--তোমার এতদিনের সব দুঃখ,কষ্ট, ক্লেশ, তপ্ত মাটির সব শুষে নিলাম।
নির্জন অলকানম্দা নদীর ধারে, বরফ ঘেরা ঐ নীলক্ন্ঠ পাহাড়ের নীচে
পাইন বনে সবুজ বুগিয়াল এরই মাঝে লতায় পাতায় দুজনে ঘর বেঁধেছি।
দোরে দোরে -ফেরী করে ফিরতাম বনের ফুল ফল আর পিঠ বোঝাই কাঠ,
রঙ বেরঙের বাহারী ঘাগরা, আসমানি রঙের কাঁচুলি, রঙিন ফিতেয় বিনুনী
সুরমায় চোখ আঁকা কপালে সোনালী টিপ ! তুমি দুয়ার ধরে আছো দাঁড়িয়ে-
দূর থেকে তোমায় দেখে পিঠের বোঝা ছুড়ে ফেলে; আমি এক দৌড়ে এসে
শক্ত হাতে জ ড়িয়ে ধরে তোমায় আমি শূণ্যে নিয়ে বন বন করে ঘুরিয়ে দিয়ে
নরম ঘাসে দুজনে আছাড়ে পরে সে এক আশ্চয সুখের পরশে হারিয়ে গেলাম।
কাটল দিন বছর গেল; পাগল করার শীতের মাঝে আগুন জেলেও হয়না গরম!
শীতল দিনে শিথিল হলো প্রেম, হায়! ভালোবাসা এ যাতনায় চির তরে হারিয়ে গেল।
 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)