সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কন্যা ফেরে ঘর ( মোহাম্মদ আবদুল মান্নান )

kobita
কন্যা ফেরে ঘর ( মোহাম্মদ আবদুল মান্নান )
ছবি - https://www.facebook.com/Bangladesh.Rare.Pics   
শিরোনামকন্যা ফেরে ঘর 
কবিমোহাম্মদ আবদুল মান্নান 
সৈয়দ শামসুল হক, শ্রেষ্ঠ কবিবর
তোমার অমর সৃষ্টি ‘কন্যা ফেরে ঘর’ ।
সেদিন সতেরোই মে কন্যা এলো ঘরে
অঝোর বর্ষণ মাঝে সিক্ত কলেবরে ।

পচাঁত্তর শোক বহ্নি বাঙ্গালির ঘরে
চিরদিন প্রজ্জলিত অন্তরে অন্তরে
ভয়াবহ সেই স্মৃতি সেই দুঃখ ব্যথা
কন্যার অন্তরে কাঁদে, কোথা পিতা মাতা ।
কোথা সেই ছোট ভাই কিশোর রাসেল
সেই শোকে কন্যাটির হৃদয় উদ্বেল ।                                   
মেহদীর রঙ মাখা কোথা ভ্রাতৃবধূ
কামাল জামাল নাই মন কাদেঁ শুধু ।

ভরাঘর শূণ্য আজি কেউ নেই পাশে
দুই কন্যা জেগে আছে শুধু ইতিহাসে ।

তারপর দীর্ঘ দিন দীর্ঘ রাত্রি শেষে
কন্যা পুনঃ ফিরে এলো এই বাংলাদেশে ।
যেখানে মায়ের কান্না,কান্না রাসেলের
আর্ত হাহাকার ধ্বণি অনন্ত কালের
বুক মাঝে কত কষ্ট শত ব্যথা নিয়ে
কন্যা আসে নিদারূন দুঃখ শোক বয়ে ।
কন্যা কাঁদে তার সাথে কাঁদে লক্ষজন
ঢাকার আকাশ কাঁদে অশ্রান্ত বর্ষণ ।
সেদিন সবার কান্না অশ্রু একসাথে
মিশে হলো অশ্রুনদী ঢাকার রাজপথে ।
ওগো কবি, তোমার এ ‘কন্যা ফেরে ঘর’
কবিতায় অশ্রু ঝরে কাঁদে চরাচর ।।

*[ সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হকের
‘কন্যা ফেরে ঘর’ কবিতাটি পাঠ করার পর রচিত
]

 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)