সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আনমনা

bangla-kobita
আনমনা
শিরোনামআনমনা
কবি - শ্যামল সোম 

সই ! ওলো ও সই ! ভাই এবার যে বেলা পরে এলো, কি হলো সই?
পা চালিয়ে চল-এবার ঘরে ফেরার পালা- চল চল-জলকে চল সই!
এখন আনমনে তাঁরই কথা ভবিস ? আয়, দুজনে আজ দুটো প্রাণের
 কথা কই, এবার তুই তোর মনের মানুষ তোর কালা শযামের কথা বল ?
তোর মন পাখীটা উড়ছে সে কোন আকাশে ? আবার কি ধ ড়েছে  ছল ?
আহাহা লাজে তোর ঐ রাঁঙা মুখের হাসি -আহাহা যেন  চাঁদের কণা ঝরে।
তোর একান্ত আপনজনে জোছনরাতে কুঞ্জবনে সে রাতে সোহাগ কেমন করে।
ও সই ! তুই দানের কলস ভরা আনতে গিয়ে জল, ভরা নদীর কাছে আছিস বসে,
ওঠলো ছুড়ি , ভরা গতর টেনে তোল, জানি তোর হৃদয় বযথায় ট্ল ম ল।
হোল কি সই ? ও মা ? কি হয়েছে ? আহা থম থমিয়ে আছে কেন মুখ ?
কার সেই বাঁশির সুরের টানে ? কোন সে হলুদ বনে হারিয়ে গেলো সুখ?
এখন এই  সাঁঝবিকেলে, নদীর পাড়েএকা বসে বসে তোর এত কান্না ?
আহা ঢঙী মেয়ের ঢঙ দেখে -হা-হা-হা-হা-হা-আমার যে ভাই-হাসি মানে না।
ওলো সই ওঠ রে এবার, সময়ের সঁপা ঘরে অসময় ফিরলে বাঁধে হ্ট্টগোল,
নূপুর ঝুনঝুনিয়ে সই এবার ছম ছমিয়ে চল, যেতে যেতে পথের বাঁকে,সই -
ও সই  তোর আপন কথা বল ? কাঁকে ভরা কলষ নিয়ে-এবার ফিরতে হবে
হাঁলো সই ! এখন ফিরতে হবে ঘরে; এবার গুটিয়ে নিয়ে আঁচল, সোনার
কাঁকণ জোড়া নেড়ে -দুইতে হবে গাই, রাতের বেলায় নিরালায় পাততে
হবে দই ; ও মা এ ও জানিস না ? তার যে রোজ দুপুরে ভাতের সাথে চাই দই।
সংসারের সকল কাজের মাঝে, অলস মনে কোনে, কোথায় খুজিস তাকে ?
সববনাশা কালের ঝ ড়ে উড়ে গেছে সাঁই -এখন আকাশ জুড়ে উড়ছে কেবল ছাই।
 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)