সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নৈঃশব্দের পূজারী কবি

kobita.info
নৈঃশব্দের পূজারী কবি
শিরোনাম - নৈঃশব্দের পূজারী কবি
কবিমোকসেদুল ইসলাম

নৈঃশব্দের প্রহর গুনে থাকা রাতের আঁধারে দুঃস্বপ্নের ঘুণপোকারা কুড়ে কুড়ে খায় জীবন
মুমূর্ষ মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার পরেও কামের লিপ্সা দানব মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠতে চায়
কে বলছে অদক্ষ আনাড়ী ছেলে? 
দেখ অন্ধকারেও সে শুনতে পায় অতৃপ্ত আত্মার হাহাকার।

নিস্তব্ধ রাতের আকাশে তারা খসার মতই নিশাচর পাখি হয়ে বেড়ানো যুবক এখন প্রহর গোনে বারমাস,
জন্মান্ধ হওয়ার পরেও আয়নায় দেখে প্রিয়ার মুখ।
নিঃশব্দ বাতাসে ঢেউ তুলে যায় রাতের ঝিঁ ঝিঁ পোকারা আর এদিকে মধ্যরাতের মাতাল আমাকে দেখায় পথের ঠিকানা,
রাতের নৈবদ্যতা ভেঙ্গে ঝগড়ায় মেতে উঠি মাতালের সাথে।

শন্দের বাঁধ ভেঙ্গে যাক আজ প্রেমের জোয়ারে,
সকল নিস্তবব্ধতা ভেঙ্গে কবির উঠোন জুড়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ুক নীলাভ চাঁদের আলো, 
নৈঃশব্দের পূজারী কবির কাছে আত্মসমর্পন করুক নিশুতি রাতের সমস্ত শব্দরা।



 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)