সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভয়াবহ অন্ধকার

kobita.info
 ভয়াবহ অন্ধকার
শিরোনামভয়াবহ অন্ধকার
কবি - আজিম হোসেন আকাশ

এই ভয়াবহ অন্ধকার, এই বিভৎস সংকট
আর কত জাতির বাতাস করবে দূষিত,
কী বিভৎস আঁধারের গর্ভে গোটাদেশ
আজ দিকবিদিক অসীম নিমজ্জিত।
কত দুর্যোগ, কত রাহাজানি, কত ত্রাসের-
ভয়ে বেপরোয়া রুগ্ন জন জীবন,
আর কত দুর্ভোগ ঠেলে ঠেলে হাপিয়ে
উঠা জনতা, করবে লড়াই প্রান পণ।
সর্বগ্রাসী পদ্মার মত অনায়াসে কেবল
ভেঙেই চলছে জীবন নদীর দু’কূল,
তবুও নদী কূল ভাঙে, কূল গড়ে-
অথচ ত্রাসের নদী গড়ে না কোন কূল।
মীর জাফরের আনাগোনায় কতকাল
থাকবে জাতি নির্ভেজাল পরাধীন,
একতরফা নীতিনির্ধারক কী করে
করবে জাতিকে পুনরায় স্বাধীন।
চারিদিকে জ্বলছে দোযখের অনল
ক্রমাগত অভিশাপ রুপে সীমাহীন,
কত গঞ্জনা, কত লাঞ্ছনা সয়ে সয়ে
হতাশাগ্রস্থ হৃদয় হয়েছে স্বস্তিহীন।
ইভটিজিং দু:সাহসের মত্ততা দেখে
ঘৃণা ছাড়া আর কিইবা করার থাকে,
প্রতিবাদের ভাষা ছুড়তে গেলে জীবন
দিতে হয় প্রতিনিয়তই যাকে তাকে।
এই ভয়াবহ অন্ধকার, এই বিভৎস সংকট
জাতির জন্য চিরকাল বহতা এক উৎকট।
 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)