সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এসো পাপের অতলে আনন্দে মাতি

kobita.info
এসো  পাপের অতলে আনন্দে মাতি
শিরোনাম - এসো  পাপের অতলে আনন্দে মাতি
কবি - শ্যামল সোম 


আজ বর্ষ শেষে এই পানশালায় তোমরা যুগলে এসো আজ রাতে,
বাহিরে ঝরে যাক অবিরত তুষার পাত, আর অবিরাম বৃষ্টির সাথে সাথে
নৃত্যরতা যুবতীর ঘাড়ে ঘনিয়ে আসে তপ্ত ঘন শ্বাস, সারা শরীরে আনাচে-,
ছড়ায় উষ্ণ সুখের পরশ, রঙ্গিন মায়াময় আলোয় এই সুভাষিত শত
পানশালায় স্বপ্ন এ ভেসে যাওয়ার ছলে, ছ্ন্দায়িত শরীরের তালে, তালে,
চ্ন্দ্রা লোকে  মন কাড়া জ্যোৎস্নায় এসো - নাচো -ঘন আলিঙ্গণে পরীদের সাথে-
তাদের দীঘল চোখের মদীর আহ্ববানে, শিহরিত শরীর আহা কি নিটোল গড়্ন্।
শ্বেতক পোতের ন্যায় দুটি উন্মুখ স্তন, আকন্ঠ  চুন্বন -সম্ভোগের তীব্র লিপ্সায়--
মন মোহিনীর আন্দলিত জঙ্ঘা,কাঁপে নাভিমূল, সাড়া রাত আনন্দে সুধাপান,
এখন -ভুত-ভবিষ্যৎ-অতীত বিলীন, এই মুহূর্ত গুলো স্বাধিন, কি সুতীব্র  দহন
লেহন করছে  লোলুভ দৃস্টি, রক্তের শিরায় শিরায় খেলা করে অমো টান,
উদ্দাম নৃত্যে-আনন্দের স্রোতে-ঊল্লাসে ভেসে যায় নগ্ন যৌবন, কল্পনায় শিহরণ ;
অনাহ্রাতা কুমারীর সাথে নিষিদ্ধ সাহসী সহবাস, চেয়ে দেখ খুলে গেছে উন্মুখ
বাজার-কাগজের পাতায় পাতায় রঙিন বিঙগাপন যৌন লিপ্সায়, বিবাহের ছলে, বলে কৌশলে,
সহবাসের কবলে শহর ও গ্রামে দিন প্রতি দিন ধর্ষণ, বাজারে বাজারে নানা প্রলোভনের
আয়োজ্ন- সাজের নানা উপকরন, মলে ম্যালে  উচু মানের বাহারি পোষা
রঙ্গীন স্বল্প পোষাকে এসো না,  এই পান শালায়  এবছরের শেষ রাতে, দামাল সময়ের-
হাতছানি-- এসো, চলে এসো এই   পানশালায়, আনন্দে মাতি, পাপে পূর্ন হোক, এই রাত।


 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)