সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নগ্ন নির্জন

kobita.info
নগ্ন নির্জন
শিরোনাম নগ্ন নির্জন
 কবি        শ্যামল সোম 

নগ্ন নির্জন দুপুরে সুদুর রামপুরের নিষিদ্ধ পল্লীর বাড়ীওয়ালীর
একা ঘরে পড়ে পড়ে- সুমিতা কাঁদে, চোখের জলে ভেসে যায় মন।
দুপুর গড়িয়ে আসছে বিকেল-এবার উঠে -শরীর টা সাজিয়ে সেজে
উঠতে হবে, এদিকে ভয়ে আতংকে শুকিয়ে আসছে গলা -জল খায় সে;
সুমিতার মনে যায় তার মেয়েবেলা-বরানগরে ছোট দর্জির দোকান
ছিল তার বাপের, পূজোর সময় নিজে সেলাই করে নানা রঙের
 বাহারি পোষাক বানাতো,সেই পোষাক পরে বাপের হাত ধরে ভাইর সাথে

ঘুরে ঘুরে দূগা ঠাকুর দেখে বেড়াত,রঙিন আলোর মায়ায় হারিয়ে যেত।
স্কু লের ফাং সনে মাতিয়ে দিত নাচ গানে, অভাবের সংসারে ছিল  শান্তি,
আন্ন্দ, কিন্তু কুল ভাসিয়ে -জোয়ারের মত যৌবনের ঢল নামলো যন শরীরে--
সর্বনাশা সৌন্দযের গরিমায়-সিনেমার নায়িকা হওয়ার চরম বাসনায় মশগুল-
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে এক রাজপুত্র, এল -চোখে রেখে চোখ, হাত ধরে বলে,
সুমি তোমার নায়িকা হওয়ার  বাসনা আমি নিশ্চয়ই পূরন করবো", প্রতিশ্রু তি
অঙ্গিকারে ফেঁসে গিয়ে,ছাড়ে বাপের ঘর ছাড়িয়ে-এত বছরের মায়া দুপায়ে মাড়িয়ে--
এক দিন ট্রেনে চড়ে রাজ পুত্রের সাথে যায় স্বপ্ন পুরীর  সেই  মায়া পুরীতে,
হায় ! এ কোথায় ? এত সাগর পারের স্বপ্ন শহর নয়, এত রাম পুরের যম পুরী।
সাজানো  ঘরে লাল বিছানায় রাতের রাত জেগে রাত পরী সাজে যন্ত্রনায়-আর্তনাদ
বোবা কান্নায় রাত শেষে ভোর হয়, বার বার ফিরে যাওয়ার বাসনায় দিন যায়-ফেরা কি হয়?



 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মতামত দিতে ভুলবেন না কিন্তু

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)