সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যতদিন দেহে আছে প্রান ,প্রানপনে সরাই জঞ্জাল

শিরোনাম
যতদিন দেহে আছে প্রান ,প্রানপনে সরাই জঞ্জাল
কাদের মোল্লার ফাঁসি হল , আমি দেশে থাকিনা , দেশী টেলিভিশন অনলাইনে দেখা যায় কিন্তু ফাঁসি তো লাইভ দেখাবেনা , দেখালেও সেটা বসে বসে উপভোগ করার মতো বিষয় নয় ,আমার পাশে থাকেন এক বাংলাদেশী তার কথা হল , “একটা ভালো মানুষরে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে”, চিন্তা পড়ে গেলাম , কিছুদিন দেশের রাজনৈতিক বিষয় গুলি ইচ্ছে করে এড়িয়ে যাচ্ছিলাম , সেই কতগুলো চেনা মানুষের রাজনীতি রাজনীতি খেলায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি ,আমার ধারনা ছিল রাজাকারের ফাঁসি টাসিও হবেনা ,সবচে বড়ো কথা কাজ কর্ম নেই ,ভিসা নিয়ে ঝামেলায় আছি , স্ত্রীর সাথে দুবছর সংসার করে উঠতে পারার আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল ,সারাদিন পড়ে পড়ে স্বপ্ন দেখি ,ছাই পাস লিখি , রাত জেগে থাকি ,দিনে ঘুমাই , আগামীকাল খাবার জুটবে কিনা , এই মাসের ভাঁড়া দিতে পারব কিনা কিছুই জানিনা ,এরকম একটা জগা খিচুড়ি অবস্থা ,পরিবার বন্ধু বান্ধব হতাস হয়ে যাচ্ছে , এর আর কিছুই হবেনা বলে সিদ্ধান্তেও চলে এসেছে অনেকে ,আমি নিজেই ফাঁসিতে ঝুলে যেতে পারলে বেঁচে যাই আর কি !তার মধ্যেও শাহবাগের জনতার রাজাকারের ফাঁসি চাই দাবীতে প্রভাবিত হয়ে পড়েছিলাম মাঝে একবার , ব্যাগ গুছিয়ে দেশে চলে গিয়ে শাহবাগে নেমে পড়ব বলে পরিকল্পনা করছি ,তখন পট পরিবর্তনে একটা ধাক্কা খেলাম ,কিছুদিন জিম মরিসনের সাথে দিস ইজ দ্যা এন্ড ,মাই ফ্রেন্ড বলে আর বব ডিলানের ,সুমনের গাওয়া বিদায় পরিচিতা বলে , জীবনের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এর মধ্যে এইসব ফাঁসি হলনা ,আবার আজকে ফাঁসি এইসব ,হাজার হলেও মনে প্রানে বাংলাদেশী ,ভাবলাম বেশ ফাঁসিটা দেখে যাওয়া যাবে ,তখন আমার প্রতিবেশীদের মন্তব্যে ভাবলাম ওয়েট এ মিনিট, বসলাম ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটিতে ,আইসিটি এর লিক হওয়া অংশ , ইসলামী রাজনৈতিকদের অভিযোগ, সংবাদপত্রের পুরনো সংখ্যা , বিদেশী সাংবাদিকদের ব্লগে ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট , আদালতের বিচার প্রক্রিয়া , সবচেয়ে সমস্যা হল যেটা আসল অভিযোগ ,মিথ্যা সাখ্য সেটার বিষয়ে নিজস্ব রায় তৈরি করতে , লিক হয়ে যাওয়া ভিডিও গুলির মান খুব কাঁচা আর ইসলামের সাথে রাজাকারির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই আমি মনে করি ,ইন্টারনেটে আপনি যদি জানেন সঠিক পদ্ধতিতে তথ্য অনুসন্ধান করতে তবে অনেক কিছুই পেয়ে যাবেন , এমনকি বাঙলায়ও খোঁজা যায় ,ধন্যবাদ গুগলকে ,ঠিক আছে ,আচ্ছা এই ব্যাপার !! বাংলাদেশে কাদের মোল্লা কয়েক হাজার থাকতে পারে কিন্তু , যে পথ পাড়ি দিয়ে জনাব কাদের রাজাকার দেশে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন তার ডুপ্লিকেট করতে গেলে বিচার বিভাগকে চায়নায় যেতে হবে ,যদিও তারা এখনো মানুষ পাইরেসি শুরু করেনি ,তাই তাও সম্ভব নয় । আমি কি ভাবি বা লিখি তা দিয়ে দেশের হয়তো কিছুই আসে যায়না ,কিন্তু মাথায় টাক পড়ে গেলতো এমনিতেই না আর দেশের মানুষ ঘ্যাঁস খায়না । যাই হোক সময় এসেছে ,এসেছে সুযোগ , জামায়াতের নেতা কর্মীদের প্রতি আমার আন্তরিক আহ্বান মাত্র কজন মানুষ নামের পশুর জন্যে ইসলামী আন্দোলন রাজাকারি আন্দোলন হলে আপনারা কি পাবেন ? সাধারণ মানুষের মধ্যে কোটি কোটি মুসলমান আছে ,তারা দাঁড়ি রাখুক , টুপী পরুক তা কি আপনারা চান না? নাকি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সবাই আসল মুসলমান ছিল ,তাই তাদের সাহায্য করে আপনাদের এই নেতারাও আখদ ,ঈমান মজবুত করেছে ? বলুন ধর্ষণ ,নিরাপরাধ মানুষকে জবাই এটা ইসলামের আইন ? বলুন আপনাদের কোন আত্মীয় যুদ্ধের সময় নির্যাতিত হয়নি ? বলুন আপনারা পাকিস্তানে গেলে তারা আপনাদের খাতির করবে ,থাকতে দেবে ? তবে চলে যান আর যদি মনে ইসলামের কলঙ্ক মোচনের কোনও খায়েশ নেই ,তবে ঘরে ঘরে আগুন জ্বালান , আর যদি বোধের উদয় হয় তাহলে নিজের হাতে এই লোকগুলোকে আইনের হাতে তুলে দিন , সাধারণ মুসলিম আর রাস্তায় বেরিয়ে ঐযে হুজুর যায় ,এইসব তিরস্কার চায়না , আমার অনেক পাকিস্তানী ,ইরানীর সাথে পরিচয় আছে বিশ্বাস করুন ,বাংলাদেশের মুসলিম তাদের চেয়ে ঈমানে দুর্বল নয় , আসুন ছোট্ট এই দেশটাতে ভেদাভেদ শেষ করে দেই, সরকারে যেই থাকুক এই সন্ধিক্ষনে যত পারা যায় দেশের গৌরব ফিরিয়ে আনুন, তারপর যে যার আন্দোলন সংগ্রাম ,ভোট দাবী নিয়ে আসুন , এখন সব চেয়ে ৪২ বছরের জমা ময়লা পরিষ্কার করা যাক ।

পাসা /১২-১৩-১৩  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন

নির্মল ভালবাসা

শিরোনাম : নির্মল ভালবাসা                      --- হেমন্ত রড্রিক্স  সমুদ্রের অতল গহ্বরে  শেওঁলা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়,  বুঝে উঠা হয়নি কখন মনের গভীরে বেসামাল ভালবাসা তেমনই দানা বাঁধলো ?  কেরোসিন পিদিম মিটি মিটি আলো দেয় মৃদু মলয় পরশে সে যেন আহ্লাদিত। তোমার মুখাবয়ব আলো আধারে  সে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টিতে নিমগ্ন ।  মেঘের গর্জে ওঠাকে ভয় পেওনা  দ্যুতিময় ঘর্ষণের পরক্ষণেই বর্ষিত ধারা । শীতল বায়ু বহে সমান্তরাল । ধুয়ে মুছে শুভ্র সুশীল ধরাতল।  দীনতা, অসৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী দৃশ্যতই  সত্যি প্রেমের গভীরতা অপরিমেয় । বিশ্বাস, সমঝোতা যার মজবুত খুঁটি ।  মরণোত্তর তাজমহল নয়, জীবদ্দশায় হাতে হাত রেখে চলার  অঙ্গীকারই "নির্মল ভালবাসা"।  (সেপ্টেম্বর তিরিশ  সিনসিনিটী  বিমান বন্দর ওহাইও, আমেরিকা  - সকাল নয়টা ।) ( কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স)