সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রেমের প্রাচীর

প্রেমের প্রাচীর শিরোনাম  - প্রেমের প্রাচীর কবি -  ডা: প্রবীর আচার্য্য নয়ন কথার প্রাচীর গড়ে নিজেকে রেখেছ ঘিরে,  বাঁধা পেয়ে বারে বারে ব্যথা নিয়ে গেছি ফিরে, ভাবনি কখনো হায় যদি সে হারিয়ে যায় ,   তবুও তোমারে প্রায় বাঁধিবে যে ও প্রাচীরে, শ্বাসরূদ্ধ কারাগারে নীরবে গোপনে ধীর।  সুকঠিন এ প্রাচীর ঘটায় যে ব্যবধান,  কি করে ভেদিবে তারে বন্ধুর শুভগান,  বাঁধা পেয়ে ধীরে ধীরে শুভক্ষণ যাবে ফিরে,  তখন তোমার হবে এ ঘুমের অবসান ।  ফিরিলে চেতনা তুমি দেখিবে বিরান ভূমি,  আসিবে না কেউ কাছে ও রাঙা চরণ চুমি,  নিঃস্ব একাকী যামী এধার ওধারে ভ্রমি,  ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে রবে ম্রিয়মান।  তখন নতুন বেশে দাঁড়াব তোমার পাশে, বাড়াব এ হাত হেসে হবো মহীয়া্‌  বুঝিবে না এই তো সে এসেছে নতুন বেশে, অশেষ ভালোবেসে তোমারই হবো গো শেষে ।  বাঁধিব বাহুর পাশে চুমিব নয়ন, হাসিবে চন্দ্র তারা , হাসিবে গগন ,  প্রেমের প্রাচীর হবে বেঁধে মনে মন ।   কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

সুরঞ্জণা তুমি ফিরে গেছো

সুরঞ্জণা তুমি ফিরে গেছো শিরোনাম   সুরঞ্জণা তুমি ফিরে গেছো কবি - শ্যামল সোম  ঘনবর্ষায় অঝরে ঝরছে বৃষ্টি, ঝিলের পা ড়ে গাছের তলায় তোমার চোখে চোখ রাখতেই দেখে  ছিলাম আমার স র্বনাশ; বাদলা হাওয়ায় থরথরিয়ে কাঁপছিল তোমার সোনার বরণ শরীর, সারা মুখে লাজে রাঙা-আলোর হাসি, অপরূপ রুপের এই মাধূরী আকাশে ঝলসে উঠছে বিদ্যূৎ  শিখা আলোয় আলোময় চারিদিক। বাজ প্ড়ার আওয়াজ শুনে ভয়ে তুমি কান চেপেছো, দুহাত বা ড়িয়ে  দিলাম তোমার দিকে,  ছুটে এসে বুকে জোরে জ ড়িয়ে ধরলে আমায়। শ্রাবণের ধারার মতো অবিরাম ঝরছিলো জল,  এত দিনের সব অভিমান  অনুযোগ, অপরাধ-যাতনা অশ্রু আর বৃষ্টিতে ধূয়ে যায়,  গভীর চুম্বনে-- তোমার এতদিনের সব দুঃখ,কষ্ট, ক্লেশ, তপ্ত মাটির সব শুষে নিলাম। নির্জন অলকানম্দা নদীর ধারে, বরফ ঘেরা ঐ নীলক্ন্ঠ পাহাড়ের নীচে পাইন বনে সবুজ বুগিয়াল এরই মাঝে লতায় পাতায় দুজনে ঘর বেঁধেছি। দোরে দোরে -ফেরী করে ফিরতাম বনের ফুল ফল আর পিঠ বোঝাই কাঠ, রঙ বেরঙের বাহারী ঘাগরা, আসমানি রঙের কাঁচুলি, রঙিন ফিতেয় বিনুনী সুরমায় চোখ আঁকা কপালে সোনালী টিপ ! তুমি দুয়ার ধরে আছো দাঁড়িয়ে- দূর থেকে তোমায় দেখে পিঠের বোঝা ছুড়ে ফেলে; আমি এক দৌড়ে এসে

শুধু তোমায়. দিলাম

শুধু  তোমায়. দিলাম শিরোনাম   শুধু  তোমায়. দিলাম কবি- শ্যামল সোম  যা কিছু এতদিন, যা -আমার ছিলো দুহাত ভরে আজ তোমায় দিলাম, যাওয়ার আগে উজার করে আমার মনের অনেক কথাই রেখে গেলাম। আকাশে সে দিন গভীর শীতের  রাতে উড়ছিল জাপানী বোমারু বিমান সাইরেন আওয়াজে কাঁপিয়ে ক্যালকাটা শহর, আর শ্ঙ্খএর ধ্বনির মাঝেই জন্ম নিলো এক শিশু ! দাদু ভেতরের ঘরে বসে রেডিওয় শুনছেন, এক ব্রজ  কন্ঠের সেই অমর - উদ্দাত আহবাণ, " দিল্লী চল! তোমারা আমায় রক্ত দাও!". আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্ণধারের আশ্বাস দিলেন "আমি তোমায় স্বাধিনতা দেবো। ঠামমা আদর করে চুমু খেয়ে বংশের প্রথম নাতীর গলায় পরালেন-সোনার হার ; দাদু হাসতে হাসতে মজা করেই দাদুভাইর ছোট্ট হাতে- ধড়িয়ে দিলেন সোনার কলম। হায় ! নিয়তির কি পরিহাস -ভয়ঙ্কর করুণ পরিনতি, অধমের কলম ঠেলেই-এলে বেলে চললো জীবন; চিরদিনই - অংকে কাঁচা যোগ - বিয়োগের জীবন খাতায় শূ ণ্যে আছি, শ্রাবন মাসে আজ এই বৃ ষ্ঠি রাতে নদীর ধারে শ্মশাণ ঘাটে এখন চিতায় উঠলেই বাঁচি। খুব ধুমধাম করে বনেদি উত্তর কলকাতার উল্লাসে নাচ গান আকাশজুরে  আতশবাজি- চওড়া গোঁপে আতর মেখে ফাড়শ্ডাঁঙার কোচানো ধূতি, মকমলের চূন ট করা পাঞ্

কন্যা ফেরে ঘর ( মোহাম্মদ আবদুল মান্নান )

কন্যা ফেরে ঘর ( মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ) ছবি - https://www.facebook.com/Bangladesh.Rare.Pics      শিরোনাম -  কন্যা ফেরে ঘর  কবি -  মোহাম্মদ আবদুল মান্নান  সৈয়দ শামসুল হক, শ্রেষ্ঠ কবিবর তোমার অমর সৃষ্টি ‘কন্যা ফেরে ঘর’ । সেদিন সতেরোই মে কন্যা এলো ঘরে অঝোর বর্ষণ মাঝে সিক্ত কলেবরে । পচাঁত্তর শোক বহ্নি বাঙ্গালির ঘরে চিরদিন প্রজ্জলিত অন্তরে অন্তরে ভয়াবহ সেই স্মৃতি সেই দুঃখ ব্যথা কন্যার অন্তরে কাঁদে, কোথা পিতা মাতা । কোথা সেই ছোট ভাই কিশোর রাসেল সেই শোকে কন্যাটির হৃদয় উদ্বেল ।                                    মেহদীর রঙ মাখা কোথা ভ্রাতৃবধূ কামাল জামাল নাই মন কাদেঁ শুধু । ভরাঘর শূণ্য আজি কেউ নেই পাশে দুই কন্যা জেগে আছে শুধু ইতিহাসে । তারপর দীর্ঘ দিন দীর্ঘ রাত্রি শেষে কন্যা পুনঃ ফিরে এলো এই বাংলাদেশে । যেখানে মায়ের কান্না,কান্না রাসেলের আর্ত হাহাকার ধ্বণি অনন্ত কালের বুক মাঝে কত কষ্ট শত ব্যথা নিয়ে কন্যা আসে নিদারূন দুঃখ শোক বয়ে । কন্যা কাঁদে তার সাথে কাঁদে লক্ষজন ঢাকার আকাশ কাঁদে অশ্রান্ত বর্ষণ । সেদিন সবার কান্না অশ্রু একসাথে মিশে হলো অশ্রুনদী ঢাকার রাজপথে

সম্বোধন

সম্বোধন শিরোনাম -  সম্বোধন          ( নজরুল স্মরণে ) কবি - মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ...তব বাণী তব গান,তব সুর কবি    আমারে পাগল করে বসে শুধু ভাবি    রুদ্র কিশোর রূপে তোমারই উথ্থান    বিদ্রোহের মহাবাণী জীবন্ত আহবান ।    বিস্মিত নিখিল বঙ্গ দেখিল সহসা    তোমারই মাঝে যেন আপনার আশা ।    অগ্নিবীণা’র সুরে বাশুরিয়া গানে    এল তাই নব আশা পরানে পরানে    গাহিয়া উঠিল তাই ভাঙিয়া জিঞ্জির    পর পদানত জাতি উচুঁ করি শির ।    রবি কাব্য রশ্মিলোকে আলোকিত যবে    বাংলা বাণীর দ্বার এসেছিলে ভবে    রবির কিরণমালা পড়েনি যেখানে    হাসিমুখে আলো ধরি দাঁড়ালে সেখানে    ভোরের সানাই’ যবে উঠিল বাজিয়া    কাফেলা রওনা হ’ল আবার সাজিয়া    গাহিয়া উঠিলে তুমি জাগরণী গান    ধ্বনিল সবার কন্ঠে জাগ জাগ প্রাণ ।    যৌবনের রক্তরাগে চিরন্তন মন    কুকারী ‘বিষের বাঁশী’ আনি স্পন্দন ।    নীলকন্ঠ রূপে তুমি ওগো নাগ শিশু    সবারে অমিয় দান করে গেলে কিছু...।   কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

সবুজ-শ্যামল

সবুজ-শ্যামল শিরোনাম -  সবুজ-শ্যামল কবি - আজিম হোসেন আকাশ সবুজের তরে এসো আমরা সবাই গ্রামে যাই, আবার আমরা সবুজ-শ্যামল ফিরে পেতে চাই। গ্রামের মায়া ছেড়ে যখন শহরে ছুটে যাই, গ্রামের চেয়ে শান্তি কি আর শহরে খুঁজে পাই! আমরা সবাই শহর পাগল গ্রামকে হেলা করি, গ্রামের জন্য সংগ্রাম করে নাইবা তত লড়ি। গ্রামকে ভালবাসতে হবে সবার সাধ্য মত, তবেই আমরা ফিরে পাব সবুজ বাংলা তত।  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

সাঁঝ বেলায় সখীর সাথে

সাঁঝ বেলায় সখীর সাথে শিরোনাম -  সাঁঝ. বেলায় সখীর সাথে কবি - শ্যামল সোম  সখী এই সাঁঝ বেলায় এলে, যখন এলো যাওয়ার সময় এখন ঐ আকাশে আকাশে গোধুলী আলোয়  আলোময়;  চেয়ে দেখ কত রঙ ! আহাহা আল্লাদে আমার আটখানা মন, চার জোরা ঘোড়ায় টা না রথ- ট গ ব গি য়ে ছু ট ছে জোর কদমে, শীতের ছিন্ন শরীর পথের ধুলোয় লুটোয় পায়ে। তোমার খোঁপায় বাঁধা র ক্ত ক র বী গু চ্ছ, পরণে তোমার লাল পাড়  বা স ন্তি রঙা শাড়ী, ডাগর দীঘল চোখে কাজল, মীনা ক্ষ ! ঠোঁ টের কোনে সকৌতুক হৃদয় বেঁধা হাসি, হি হি হা হা হা হাসি, অথচ শ্ব্দ নেই কো ন, কি ন্তু  আমা র কা নে বাজল এসে যেন-। সখী আহা ! তোমার সাজের এত বাহার, কাঁকন জোড়া নিটোল সোনার রঙের হাতে,আমি- তোমার পানে চেয়ে ভাবি এখন কে কার অলংকার, বাজিয়ে নূপুর পায়ে ঝম ঝমিয়ে চললে ঐ রাতের অভিসারে, ফুল বিছানো পথে প্রদীপ নিয়ে হাতে ওড়নায় মুখ ঢেকে স্ব প্নে র ন ন্দি নী ! আজ র ঞ্জ নের সাথে মিলন, নীল পাহাড়ের চূড়োয়। সখী সেই বষার রাতে দূর থেকে ছুঁড়ে দেওয়া তোমর ঐ র ক্ত করবীর এক টি ফুল আমি কুড়িয়ে নিয়ে, বিশু পাগলে মতো শুনিয়ে ছিলেম গান - চোখের জলে নামলো জোয়ার" কখন বা " ওগো দুখ জাগানিয়া তোমায় গান শোনাবো, তা

তুমি চলে যাওয়ার পর

তুমি চলে যাওয়ার পর শিরোনাম   তুমি চলে যাওয়ার পর কবি - মোকসেদুল ইসলাম তুমি চলে যাওয়ার পর বুক পাঁজর বরাবর বেড়ে ওঠা কষ্টের বলিরেখা কেউ দেখেনি কেউ বলেনি তুমি কেমন আছো? মনের যত স্ফীত ব্যথা ভাগ করে নিতে পারিনি কারো সাথে কষ্টের ঝড়ো হাওয়ায় নিভে গেছে যখন সমস্ত সুখের বাতি তখন কেউ আর এগিয়ে আসেনি। তুমি চলে যাওয়ার পর বিরোধী বেদনারা দখলে নিয়েছে হৃদয় তাদের তুমুল আন্দোলনে সুখগুলো এখন নির্বাসিত জীবন যাপনে ব্যস্ত স্মৃতির পোকাদের সাথে তাই এখন নিত্য বসবাস আমার। তুমি চলে যাওয়ার পর অশ্রসিক্ত নির্ঘুম রাত কাটে, ক্লান্ত দুপুরে আনমনে হাঁটি একাকী বিকেলে পাথর চাপা হলুদ ঘাসের মতো কষ্টে কাটে জীবন ভরা বর্ষা ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার সমস্ত অনাগত সুখ। তুমি চলে যাওয়ার পর কেউ বলেনি কেমন আছো, কেমন কষ্টে কাটে দিন?  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

উদীক্ষণ

উদীক্ষণ শিরোনাম   উদীক্ষণ কবি ;  আমিন পরবাসী ক্ষণজন্মা আজ তুমি অগ্নিজলে ডুববে, জানি- পুড়বে তুমি, সাথে পোড়াবে জরাহীন আর্জুনি। ঝরা পাতার স্তুপটি জ্বলবে দাউ-দাউ করে, পোষা নক্ষত্ররা পালিয়ে যাবে বিকট চিৎকারে। কেউ আসবেনা নিকষ আঁধারে জঞ্জাল পেরিয়ে- অগ্নিজলে করবেনা সন্তরণ উদ্ধত বুকে জড়িয়ে। প্রভাতের সঙ্কুচিত দৃষ্টিতে ঝরবে বিদ্রুপের লাভা, ঊর্ধদৃষ্টিতে নিজেই নিজেকে হারাবে, বিলুপ্ত শোভা। পালাচ্ছে তোমার সকল চন্দ্রধর, বৈরী জ্যোৎস্নায়- বলেছিলো যারা আঁকবে তোমার মুখ পদ্মঈষীকায়। কালো ধোয়ায় আচ্ছাদিত নির্মুক্ত নীল আকাশ, প্রকম্পিত ধরণী! কি খুঁজছো? যন্ত্রণার নিকাশ? ভয় পেয়োনা, আসছি, অগ্নিগর্ভেই বুকে জড়াবো। পরিপুষ্ট বক্ষে পুষিত আগুনে আগুন পোড়াব।  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

আনমনা

আনমনা শিরোনাম -  আনমনা কবি - শ্যামল সোম  সই ! ওলো ও সই ! ভাই এবার যে বেলা পরে এলো, কি হলো সই? পা চালিয়ে চল-এবার ঘরে ফেরার পালা- চল চল-জলকে চল সই! এখন আনমনে তাঁরই কথা ভবিস ? আয়, দুজনে আজ দুটো প্রাণের  কথা কই, এবার তুই তোর মনের মানুষ তোর কালা শযামের কথা বল ? তোর মন পাখীটা উড়ছে সে কোন আকাশে ? আবার কি ধ ড়েছে  ছল ? আহাহা লাজে তোর ঐ রাঁঙা মুখের হাসি -আহাহা যেন  চাঁদের কণা ঝরে। তোর একান্ত আপনজনে জোছনরাতে কুঞ্জবনে সে রাতে সোহাগ কেমন করে। ও সই ! তুই দানের কলস ভরা আনতে গিয়ে জল, ভরা নদীর কাছে আছিস বসে, ওঠলো ছুড়ি , ভরা গতর টেনে তোল, জানি তোর হৃদয় বযথায় ট্ল ম ল। হোল কি সই ? ও মা ? কি হয়েছে ? আহা থম থমিয়ে আছে কেন মুখ ? কার সেই বাঁশির সুরের টানে ? কোন সে হলুদ বনে হারিয়ে গেলো সুখ? এখন এই  সাঁঝবিকেলে, নদীর পাড়েএকা বসে বসে তোর এত কান্না ? আহা ঢঙী মেয়ের ঢঙ দেখে -হা-হা-হা-হা-হা-আমার যে ভাই-হাসি মানে না। ওলো সই ওঠ রে এবার, সময়ের সঁপা ঘরে অসময় ফিরলে বাঁধে হ্ট্টগোল, নূপুর ঝুনঝুনিয়ে সই এবার ছম ছমিয়ে চল, যেতে যেতে পথের বাঁকে,সই - ও সই  তোর আপন কথা বল ? কাঁকে ভরা কলষ নিয়ে-এবার ফিরতে হবে হাঁলো সই ! এখন

অন্তকালে অন্তশয্যা

অন্তকালে অন্তশয্যা শিরোনাম   অন্তকালে অন্তশয্যা কবি - আজিম হোসেন আকাশ আমার অন্তকালে অন্তশয্যা দিও তোমরা বিছিয়ে; চার বেহারায় উঠব আমি দিও আতর খুশবো ছিটিয়ে। অন্তযাত্রায় ফেল না আর মিছে শুধু নোনাজল; আসব না আর ফিরে কভু বৃথাই যাবে আঁখিজল। অন্তসাজে যাবো আমি সাদা কাফন জড়িয়ে; অশ্র মুছে দাওগো বিদায় অন্তর্দহন নিভিয়ে। অন্তদর্শন দেখবে তোমরা শোকাহত হৃদয়ে; দেখবে না আর আমায় কভু দুই দিনের এই ভুবনে। অন্ত নিদ্রায় নিদ্রা যাব অন্ধকার এক কুটিরে; কেউ রবে না এই ধরাতে সময় যখন ফুরাবে।  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

ভালোবাসা শুধু নয় কাছে আসা

শিরোনাম   ভালোবাসা শুধু নয় কাছে আসা ভালোবাসা শুধু নয় কাছে আসা কবি - শ্যামল সোম   ভালোবাসায় এখন আমার ভীষন ভয়, কি জানি আবার কখন কি হয়?  বার বার ভেঙে যাওয়া ভালোবাসায় -চরম হতাশায় আজ এই নিরালায়, আমি একা নদীর কাছে বসে কত কথাই কেবলি বলি নদী সাথে- নদী জানো - সে দিন সেই কুয়াশা ভরা খুব ভোরে শিউলি ফুল ছাওয়া পথে নীল পরীর সাজে সে আমার বর আদরের অতসী এসে ছিল আমার খুব কাছে মায়াময় আলোয়  সে মুখ তুলে দীঘল চোেখ চেয়ে,  মৃদু গলায় বলেছিল সেই মেয়ে, "হায় ! এত - এত দিন পর আসতে হয়?  শেষে কি পথ তুমি এলে ?  আজ এই সোনাঝরা ভোর বেলায় সাঁঝ সকালে। সখা,  এত বছর তুমি কোথায় ছিলে ?  তুমি ছাড়া কি ভাবে বৃথা গেছে দিন-- " রাতে নিদ নাই মোর আঁখিপাতে "  "সহে যাতনা"  "দাঁরিয়ে আছো তুমি আমার গানের ও পারে- আমার সুরগুলি পায় চরণ -আমি পাই নে তোমারে " কত কত গান হলো গাওয়া - তারপর মনের যত কথা ছিলো উজাড় করে- দিলাম তাকে, শুনলো -হেসে চলে গেল - সব গান সব  কথা হারিয়ে গেলো। আজ তাই ভীষন ভয় হয় ভালোবাসায়-আমায় একেবারে ভিখিরী করেছে ভালোবাসা । কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

আমার যদি

আমার যদি শিরোনাম -  আমার যদি কবি - আজিম হোসেন আকাশ আমার যদি পাখির মত থাকত দুটি ডানা; নীল আকাশে উড়তাম আমি থাকত না আর মানা। যেথায় খুশি সেথায় যেতাম হরেক স্বপ্ন নিয়ে; হরিৎ বৃক্ষের শাখায় যেতাম পাখায় ভর দিয়ে। আকাশটাকে করতাম আমি এক মুহুর্তে জয়; দেশ-বিদেশে ঘুরে তাইতো কাটত মনের ভয়। দিঘির পাড়ের সবুজ বৃক্ষে গড়তাম পাতার বাসা, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়-বাদলেও থাকত মনে আশা।  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

সমতায় বাঁচবো সকলে

সমতায় বাঁচবো সকলে শিরোনাম সমতায় বাঁচবো সকলে কবি -     মোলী মুছে নাও দু চোখের ক্লান্ত বিপাক বাইরে তাকাও,ওরাও এবার ক্ষান্ত হয়েছে কত আর রণ দামামায় বিধর্মীর বৈষম্যপাত হবে? ছোড়া পাথর দাবানলে এতকাল দুন্দুভি নিনাদে আড়ষ্ট ওদের প্রত্যঙ্গ ঘিরে দুর্নীতি দল হ্যান্ডিক্র্যাপ্ট হল শোন হে সময়- :এবারের ইতিহাস লিখে দিও মুক্তির স্রোত্ লিখে দিও মার্কস,লেলিনের গুষ্টিপাত শেষে রঙহীন পান্ডুলিপি, কালের সীমানা পেড়িয়ে আর এক মুক্তি জয়ের কাব্য গড়েছে। মুছে নাও ক্লান্তি সব ত্যক্ত বিষাদ; চেয়েছিল হাতে বেড়ি উন্মাদ শিবির এক রঙ্গমঞ্চ হবে পথ ঘরে গেয়ে যাবে আকর্নীর নিষিক্ত ক্ষুধা ঘরে দ্বীপ জ্বেলে চির নির্বাপিত করে যে আঁধার গেল ওরা তাহ্ করেছে গাজন শত মন্ত্রের উচ্চারণে নিয়েছে শপথ,আমি কোন মাধুকরী নই-কে এসেছো- বিচার প্রহসন,আমিও যাজ্ঞবক্ষে শুল্কঘৃত যোগে করেছি সঙ্গম যমুনার মতো অথ্ এই শতকের ঘরে জনমের মন্ত্রধারা মতে নির্বাহের শপথ কারণে। মুছে নাও ক্লেদ যত যন্ত্রনার; তাকাও বাইরে বিফল শিবির,ভ্রান্ত সব বিক্ষিপ্ত আরোপন বিলাপ হয়েছে,এইবার স্ব-ভূমিকার তালিকা বানাও। দেখে নাও পরুষকার বিজয়ী সত্যভাম,আমার আমিরে

নৈঃশব্দের পূজারী কবি

নৈঃশব্দের পূজারী কবি শিরোনাম  -  নৈঃশব্দের পূজারী কবি কবি -  মোকসেদুল ইসলাম নৈঃশব্দের প্রহর গুনে থাকা রাতের আঁধারে দুঃস্বপ্নের ঘুণপোকারা কুড়ে কুড়ে খায় জীবন মুমূর্ষ মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার পরেও কামের লিপ্সা দানব মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠতে চায় কে বলছে অদক্ষ আনাড়ী ছেলে?  দেখ অন্ধকারেও সে শুনতে পায় অতৃপ্ত আত্মার হাহাকার। নিস্তব্ধ রাতের আকাশে তারা খসার মতই নিশাচর পাখি হয়ে বেড়ানো যুবক এখন প্রহর গোনে বারমাস, জন্মান্ধ হওয়ার পরেও আয়নায় দেখে প্রিয়ার মুখ। নিঃশব্দ বাতাসে ঢেউ তুলে যায় রাতের ঝিঁ ঝিঁ পোকারা আর এদিকে মধ্যরাতের মাতাল আমাকে দেখায় পথের ঠিকানা, রাতের নৈবদ্যতা ভেঙ্গে ঝগড়ায় মেতে উঠি মাতালের সাথে। শন্দের বাঁধ ভেঙ্গে যাক আজ প্রেমের জোয়ারে, সকল নিস্তবব্ধতা ভেঙ্গে কবির উঠোন জুড়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ুক নীলাভ চাঁদের আলো,  নৈঃশব্দের পূজারী কবির কাছে আত্মসমর্পন করুক নিশুতি রাতের সমস্ত শব্দরা।   কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

খুকুমণি

খুকুমণি শিরোনাম   খুকুমণি কবি - আজিম হোসেন আকাশ আমাদের খুকুমণি করে খেলা সারা দিন, টিভি দেখে মাঝে মাঝে নাচে তাক্ ধিনা ধিন। রিমোট হাতে পেলে টিভি তার দখলে, কার্টুনে-তে মন মজে হাসি থাকে আদলে। খেলার পুতুল তার সদা থাকে কোলেতে, জড়িয়ে আদর দেয় শতবার গালে-তে। খেলার সাথী তার আদরের বড় ভাই, দুষ্টুমি করে তারা খেলার সময় তাই।  কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স