শুধু তোমায়. দিলাম |
কবি- শ্যামল সোম
যা কিছু এতদিন, যা -আমার ছিলো দুহাত ভরে আজ তোমায় দিলাম,
যাওয়ার আগে উজার করে আমার মনের অনেক কথাই রেখে গেলাম।
আকাশে সে দিন গভীর শীতের রাতে উড়ছিল জাপানী বোমারু বিমান
সাইরেন আওয়াজে কাঁপিয়ে ক্যালকাটা শহর, আর শ্ঙ্খএর ধ্বনির মাঝেই
জন্ম নিলো এক শিশু ! দাদু ভেতরের ঘরে বসে রেডিওয় শুনছেন, এক ব্রজ
কন্ঠের সেই অমর - উদ্দাত আহবাণ, " দিল্লী চল! তোমারা আমায় রক্ত দাও!".
আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্ণধারের আশ্বাস দিলেন "আমি তোমায় স্বাধিনতা দেবো।
ঠামমা আদর করে চুমু খেয়ে বংশের প্রথম নাতীর গলায় পরালেন-সোনার হার ;
দাদু হাসতে হাসতে মজা করেই দাদুভাইর ছোট্ট হাতে- ধড়িয়ে দিলেন সোনার কলম।
হায় ! নিয়তির কি পরিহাস -ভয়ঙ্কর করুণ পরিনতি, অধমের কলম ঠেলেই-এলে বেলে
চললো জীবন; চিরদিনই - অংকে কাঁচা যোগ - বিয়োগের জীবন খাতায় শূ ণ্যে আছি,
শ্রাবন মাসে আজ এই বৃ ষ্ঠি রাতে নদীর ধারে শ্মশাণ ঘাটে এখন চিতায় উঠলেই বাঁচি।
খুব ধুমধাম করে বনেদি উত্তর কলকাতার উল্লাসে নাচ গান আকাশজুরে আতশবাজি-
চওড়া গোঁপে আতর মেখে ফাড়শ্ডাঁঙার কোচানো ধূতি, মকমলের চূন ট করা পাঞ্জাবি
হেলতে দুলতে বাপ এলেন-ছেলের মুখ দেখে দিলেন কূইন ভিক্ট রিয়ার ছবি আঁকা গিনি।
একে একে মাসী পিসীমণি মামা মামী-কাকামণি প্যারাম্বুলেটর-দোলনা কত কিছুই দিলেন।
উপহারে পাহাড়ে আদরের আছাড়ে, শিশু শ্যামলসোনার কান্নাশুনে দৌড়ে এলেন জননী
আদর করে বুকের মাঝে জ ড়িয়ে ধরে হাজার চুমায় ভরিয়ে দিয়ে ঘুম পাড়ানীর গান শুনিয়ে
"কাজলা দিঘীর পাড়ে চাঁদ উঠেছেঐ, মাগো মা আমার কাজলা দিদি কৈ? মায়ের হাসি চাঁদে কনা
ঝরে, মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে ! আজ এই শেষ বয়ষের কান্না মনে মনে দিলাম।:
কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মতামত দিতে ভুলবেন না কিন্তু