সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রেমের প্রাচীর

বাংলা কবিতা
প্রেমের প্রাচীর
শিরোনাম -প্রেমের প্রাচীর
কবিডা: প্রবীর আচার্য্য নয়ন

কথার প্রাচীর গড়ে নিজেকে রেখেছ ঘিরে, 
বাঁধা পেয়ে বারে বারে ব্যথা নিয়ে গেছি ফিরে,
ভাবনি কখনো হায় যদি সে হারিয়ে যায় ,  
তবুও তোমারে প্রায় বাঁধিবে যে ও প্রাচীরে,
শ্বাসরূদ্ধ কারাগারে নীরবে গোপনে ধীর। 
সুকঠিন এ প্রাচীর ঘটায় যে ব্যবধান, 
কি করে ভেদিবে তারে বন্ধুর শুভগান, 
বাঁধা পেয়ে ধীরে ধীরে শুভক্ষণ যাবে ফিরে, 
তখন তোমার হবে এ ঘুমের অবসান । 
ফিরিলে চেতনা তুমি দেখিবে বিরান ভূমি, 
আসিবে না কেউ কাছে ও রাঙা চরণ চুমি, 
নিঃস্ব একাকী যামী এধার ওধারে ভ্রমি, 
ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে রবে ম্রিয়মান। 
তখন নতুন বেশে দাঁড়াব তোমার পাশে,
বাড়াব এ হাত হেসে হবো মহীয়া্‌ 
বুঝিবে না এই তো সে এসেছে নতুন বেশে,
অশেষ ভালোবেসে তোমারই হবো গো শেষে । 
বাঁধিব বাহুর পাশে চুমিব নয়ন,
হাসিবে চন্দ্র তারা , হাসিবে গগন , 
প্রেমের প্রাচীর হবে বেঁধে মনে মন । 
 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি ...

ফুল ! তুমি ও এক নারী

শিরোনাম    ফুল !  তুমি  ও  এক  নারী                       শ্যামল সোম নারী ফুল হয়ে, ফুঁটছে  হৃদয়  কাননে, কাননের  নানা  গাছে, আহাহা ফুলের কী বাহার ! সেই সব গাছের ফুল ছিঁড়ে এনে, তোর  কামনার  আগুনে সেঁকে, জোছন ভরা আলো করা  রূপে মাতাল হওয়া  গন্ধে, আকুল হয়ে; হারামী  পুরুষ ! তুই প্রেমের মায়া জাল  ফেলে, রঙ্গিন  স্বপ্নের জাল বুনে, ফুলের সারা শরীরে আদরের বন্যায়, বন্য ভয়ঙ্কর তোর কঠিন পৌরুষের আঘাতে আঘাতে, ফুলের মতন নারীর পেলব শরীর থেকে খুবলে খেলি  একে  একে  চোখ  ঠোঁট,  স্তন, নাভীমূল, মাতৃ যোনী;  হায় ! পুরুষ যে দ্বারে তোর জন্ম, ঐ খানেই তোর মরন ! জোয়ান মরোদ গায়ে গতরে খেটে  মানব জমীন  চাষ  করে, সাজানো তোর  বাগানে  শত ফুল বিকশিত  কর, নইলে তুই দোজখের  আগুনে, নরকে  ফুট ন্ত তেলে পুড়বি, ভয়  হয় না তোর ? ওপরওয়ালার  ভয়াবহ  মারে -এডসে  রোগে বা  পক্ষাঘাতে-পঙ্গু  হয়ে বিছানায় শুয়ে ঈ শ্বরকে  হাজার ডাকলেও  তিনি  মুখ  ফিরিয়ে  থাকবেন, নারী যিনি,  সৃস্টির অধীশ্বরী !  ভগবতী যার  স্তন দুগ্ধে  শিশুর মরণ বাঁচন; তাঁকে ধ র্ষন  ভালোবাসা  ছলনায়,  জানি, খলের  ছলের  অভাব হয় না কখন, নারীর  সৌন্দর্য  নিয়ে 

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন