সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সমতায় বাঁচবো সকলে

kobita 38

সমতায় বাঁচবো সকলে

শিরোনাম সমতায় বাঁচবো সকলে



মুছে নাও দু চোখের ক্লান্ত বিপাক
বাইরে তাকাও,ওরাও এবার ক্ষান্ত হয়েছে
কত আর রণ দামামায় বিধর্মীর বৈষম্যপাত হবে?
ছোড়া পাথর দাবানলে এতকাল দুন্দুভি নিনাদে
আড়ষ্ট ওদের প্রত্যঙ্গ ঘিরে দুর্নীতি দল হ্যান্ডিক্র্যাপ্ট হল
শোন হে সময়- :এবারের ইতিহাস লিখে দিও মুক্তির স্রোত্
লিখে দিও মার্কস,লেলিনের গুষ্টিপাত শেষে রঙহীন পান্ডুলিপি,
কালের সীমানা পেড়িয়ে আর এক মুক্তি জয়ের কাব্য গড়েছে।

মুছে নাও ক্লান্তি সব ত্যক্ত বিষাদ;
চেয়েছিল হাতে বেড়ি উন্মাদ শিবির এক রঙ্গমঞ্চ হবে
পথ ঘরে গেয়ে যাবে আকর্নীর নিষিক্ত ক্ষুধা
ঘরে দ্বীপ জ্বেলে চির নির্বাপিত করে যে আঁধার গেল
ওরা তাহ্ করেছে গাজন শত মন্ত্রের উচ্চারণে
নিয়েছে শপথ,আমি কোন মাধুকরী নই-কে এসেছো-
বিচার প্রহসন,আমিও যাজ্ঞবক্ষে শুল্কঘৃত যোগে
করেছি সঙ্গম যমুনার মতো অথ্ এই শতকের ঘরে
জনমের মন্ত্রধারা মতে নির্বাহের শপথ কারণে।

মুছে নাও ক্লেদ যত যন্ত্রনার;
তাকাও বাইরে বিফল শিবির,ভ্রান্ত সব বিক্ষিপ্ত আরোপন
বিলাপ হয়েছে,এইবার স্ব-ভূমিকার তালিকা বানাও।
দেখে নাও পরুষকার বিজয়ী সত্যভাম,আমার আমিরে,
ক্ষুদ্রমাত্র কেশাগ্র হয়নি ভন্ডুল কোন ব্যাদান প্রলাপে
বারংবার বিষেদ্গার আর হীম কামার্তর বৃথা উদ্গীরণ
অঙ্গগুলি যথারীতি সচল সবল কর্মরীতি,ভিন্ন হয়নি কোন
নিন্দা প্রলাপ,শোন হে সময়,জটাজুট খসে গেছে রুদ্রতা
এইবারে নেমে এসো পথ সামনে রয়েছে অভিলাষ।

মুছে নাও শেষবার শুষ্ক অশ্রুজল;
দিগন্ত জুড়ে লিখে দাও বাঁচবার পূণ্য উচ্চারণ
বলে দাও নৈরাজ্যে নয়,সমতায় বাঁচবো সকলে
সমতায় বাঁচবো সকলে।


 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা "আমার পরিচয়"

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা  "আমার পরিচয়" শিরোনাম     আমার পরিচয় আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে ,   হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে ,   কোথা থেকে তুমি এলে   ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে। এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে। আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে আমি তো এসেছি   ‘ কমলার দীঘি ’ ‘ মহুয়ার পালা ’   থেকে। আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে। এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে। এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে ...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন