সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা

শিরোনাম হে শতবর্ষী পূনর্ভবা
bangla kobita
 হে শতবর্ষী পূনর্ভবা

    মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা তোমাকে বলছি,
রুপে রুপসী পূণর্ভবা শিমুলের রক্ত রাঙানানো দৃশ্যে-
শুকনো বাঁশের ঝঁপে মাছেদের দলের সামনে বসেছি।
হাজার বছরের ইতিহাস আজ উঠে ফুঁটে ক্ষণে ক্ষণে,
জন্ম-মৃত্যু-বন্ধন আর আবেগ রুদ্ধ মনে-
কতকাল গেছে; কত ক্ষণ দূরের কোকিলের ডাক শোনা যায়,
আমের মুকুল রৌদ্দুর দুপুরে অসীম স্বপ্ন জাগায়।

তুমি পূনর্ভবা; হাজার পথের মিলনের সাক্ষি তুমি,
ছুটে এসেছি তোমার বুকেতে সবুজ ঘাসের দেহেতে আমি।
মাছরাঙার নিরব অপেক্ষার পহরের মত অপেক্ষা করি,
যতদূর যায় চোখ চেয়ে দেখি চিকচিক বালি।

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা, তোমার তীরে সাদা সজনে ফুলের মেলায়-
অজও কত রঙে ঝলমল রোদে মেতে উঠ তুমি খেলায়।
কত যুগ পেরিয়েগেছে, কতজন হারিয়েগেছে দূরের কবরাস্থানে,
কত স্মৃতি জড়িয়ে রেখেছে অগ্নিশিখার শ্মসানে-
আমি তারিই ছবি আঁকি আজও হাজার বছরের ইতিহাস,
দু’তীরে ভাঙা গড়ার মাঝে হারিয়ে যাওয়া-গড়ে তুলা বসবাস।
তোমার যৌবনের রুপখানি আঁকি, পালতুলা নৌকা মাঝিদের,
তুমি আসবে ফিরে মনের দিগন্তে বাস্তবতায় ফের।
হাজার বছরের রত্নগুলো ভাসে মনে কত জীবন্ত স্বপ্ন স্রোত,
আজ এই মধ্য দুপুরে এলো-মেলো বাতাসে ঝলমলে এই রোদ-
যুগান্তরের স্মৃতি কথা উঠে ফুঁটে দূরের সবুজ গাছেদের দেহে,
তুমি আজও সেই স্মৃতি আগলে রেখেছ কত আদর-কত স্নেহে।
পাখিরা গেয়ে যায় গান; কত পাখি, কত রঙে, কত রুপে,
আমি মুগ্ধ হই রাজ হাঁসের সন্ধানী রুপ আঁকা ডুবে।

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা, তুমি কি হারিয়ে যাবে,
তোমার যৌবনের প্রখরতা কি রবে-
বর্ষার দূরন্ত ছুটে চলা হয়ত আর নেই,
হয়ত তুমি থাকবেনা হয়তবা রবে তবু রচে যাই।
তোমার রুপেতে সবুজ তীরে যৌবনে তো ছিল সবিই,
তবে কি আজ বৃদ্ধার রুপে বয়ে এনেছ ইতিহাস-
তোমার হৃদয়ে আঁকি দুটি হৃদয়ের আবেগের বসবাস।

তুমি শুনে রাখ হে শতবর্ষী রুপবতী পূনর্ভবা,
তোমার বুকু স্বপ্ন সুখে আমি খুজি পূর্ণতা-
তুমি ইতিহাস আমার স্বপ্নের নতুন দিগন্তের কল্পনার,
তোমার দেহেতে সবুজ হৃদয়ে বালুর মাঝে আঁকা আল্পনার।
পাখির গানে স্বপ্নের টানে শিমুল রাঙা হৃদয় স্বরে,
সাক্ষি হয়ে থাক হে শতবর্ষী প্রেমময় তুমি নেবে মোরে-
দূরন্ত পথে নতুন কোন পথে স্রোতের মহানায়,
বলে দিও তুমি হৃদয়ের কথা অব্যক্ত কথামালার জানালায়।

 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা "আমার পরিচয়"

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা  "আমার পরিচয়" শিরোনাম     আমার পরিচয় আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে ,   হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে ,   কোথা থেকে তুমি এলে   ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে। এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে। আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে আমি তো এসেছি   ‘ কমলার দীঘি ’ ‘ মহুয়ার পালা ’   থেকে। আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে। এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে। এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে ...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন