সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভালোবাসায় প্রেম নেই

শিরোনাম ভালোবাসায় প্রেম  নেই
ভালোবাসায় প্রেম  নেই
ভালোবাসায় প্রেম  নেই


                                                          শ্যামল সোম

আজ  আর কেউ ভালোবাসায় প্রেম খোঁজে  নাকো, 
কিংবা কোন কালেই ভালোবাসায় প্রেম ছিলো নাকো। 
 মুখে  মুখে শুধু বলে ভালোবাসি।
সূর্যোস্তে গোধুলি আলোয় বিপাশার তীরে বসে মৃদু ভাসে 
প্রেয়সীর কানে কানে বলে, " নয়নিকা তোমায় ভালোবেসে ভিখারী হয়েছি আজ আমি;
বাড়িয়ে  দেওয়া  দু-হাত ভরে দাও ভালোবাসার চির-চিহ্ন  তোমার
রক্তিম  ঠোঁটের উ ষ্ণ চুম্বন, তীব্র দহন,  দংশনের ক্ষত, আমার উতপ্ত
শরীর শীতল হোক, তোমার নগ্ন জ্যোতস্না প্লাবিত শরীরের ঘন আলিঙ্গণে।
রাতের আকাশের ভীড়ে, শালিমার, নিশার বাগের উদ্যানে বা ঐ ভ্যালি
অফ  ফ্লাওয়ার্স  এ ফুলেদের  মাঝে আমি  ঠিক  খুঁজে নেবো তোমায়।
এই  বিপাশা নদীর সাঁতরিয়ে পার হয়ে  হর-কী- দুন  এর পথে চড়াই
উতড়াই  ভেঙ্গে  অবশেষে  দূরে ঐ স্বর্গ রোহিনী পাহাড়ে পৌছতে  চাই।
নয়নিকা হায় ভালোবাসার বে-খেয়ালে, এত আশা-নিরাশার, মানে-
অভিমানে-প্রেমে-বিরহের এ আমরা কোথায় এলাম? চারিদিকে শুধু
আঁসটে  দুর্গন্ধ,  রক্ত ক্ষরণ, গাড় অন্ধার, গহন অরন্যে  সর্পিল সুরঙ্গে
সংকীর্ন  পথে  পিচ্ছিল, পঙ্কিল সেই  চিরকালিন  ভালোবাসার বলে,  
ছলে সরীসৃপের  বেগে  শুধু  বুক ঘেঁসটে  কেবল  দন্ডি ঘাটা।
 বহু যুগ  আগে স্বর্গ হতে বিতাড়িত ইডেনের নানা রঙের সুমিস্ট ফলে  সুগন্ধি ফুলে সুসজ্জিত উদ্যানে,
 নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার  অপরাধে;   ভালোবাসা, হায় ভালোবাসা !

 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা "আমার পরিচয়"

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা  "আমার পরিচয়" শিরোনাম     আমার পরিচয় আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে ,   হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে ,   কোথা থেকে তুমি এলে   ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে। এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে। আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে আমি তো এসেছি   ‘ কমলার দীঘি ’ ‘ মহুয়ার পালা ’   থেকে। আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে। এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে। এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে ...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন