সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঈদ নিয়ে আজিম আকাশ এর দুটি কবিতা

ঈদের খুশি
ঈদ মুবারাক
ঈদ নিয়ে আজিম আকাশ এর দুটি কবিতা

আজিম আকাশ

আজি হর্ষে ঈদ এলো বুঝি ধরায় আমরণ
কে আছো তাকে করিবে খুশিতে বরণ;
সন্ধ্যাকাশে উঁকি মারা বাঁকা চাঁদের
হাসিতে জাগোক হৃদয়ে নব শিহরণ।
ফুল-ফল, নদী-নালা, পথ-ঘাট
যা কিছু প্রকৃতির আজি দৃশ্যমান;
যেন কোন বরেণ্য কবির কবিতায়
সবি জাগতিক ধারায় চলমান।
কত গুঞ্জন- কত বর্ণাঢ্য ঈদ আয়োজন
কত স্বপ্নেরা সঞ্চায়িত ঈদের খুশিতে;
কত প্রতিক্ষার পর-কত বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাসে
তুমি এলে এই ধরায় স্বর্ণালী প্রভাতে।
দখিণা সমিরণ দোলা দিয়ে যায়-
তোমার শুভাগমনে আন্দোলিত মনে;
দূর হোক সব মনোবিকার, হিংসা-বিদ্বেষ
বুকের পাঁজরে ঈদ গাহে এই শুভ ক্ষণে।
এসো প্রগতির ছোয়ায় ডিজিটালরূপে
এই বাংলায় নব আয়োজনে-নব উচ্ছাসে;
এসো ফিরনি-পায়েশ- সেমাই নিয়ে
রমনীর ডাইনিং টেবিলে-বিপুল উল্লাসে।
এসো আনন্দের নির্মল বার্তা হাতে নিয়ে
কিশোর-কিশোরীর স্বপ্নকে আলোকিত করে;
এসো সকলের চলমান দুঃখ ঘোচাতে
হৃদয়কুঞ্জবনে আপামর বাংলায় ক্ষণতরে।
আজি হর্ষে ঈদ এলো বুঝি ধরায় আমরণ
কে আছো তাকে করিবে খুশিতে বরণ।


ঈদ
আজিম আকাশ

দু’টি শব্দের একটি বারতা
বছর ঘুরে আসে,
দু:খ-বেদনা ভুলে সবাই
খুশির জোয়ারে ভাসে।
কত সংযমের পর, কত ত্যাগ-
কত ভোগ-বিলাস দূরীভূত করে,
তিরিশ সিয়াম পালনের পর
তুমি এলে তবে, মোমিনের ঘরে।
কাস্তের মত বাঁকা চাঁদের হাসি
মায়ের মতই কত না মধুর,
বিপুল উল্লাসে, অধির আগ্রহে
চেয়ে থাকি ঐ আকাশ সুদূর।
আজি কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে
বুকের পাঁজরে জড়িয়ে,
ভুলে যাই সব হিংসা-বিদ্বেষ-
আতর-খুশবো ছড়িয়ে।
দূর কর সব মনোবিকার
দু:খ-গ্লানি ফেলে পশ্চাতে,
ঈদের খুশি থাক না অটুট
চিরকাল তোমাতে-আমাতে।


 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা "আমার পরিচয়"

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা  "আমার পরিচয়" শিরোনাম     আমার পরিচয় আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে ,   হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে ,   কোথা থেকে তুমি এলে   ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে। এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে। আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে আমি তো এসেছি   ‘ কমলার দীঘি ’ ‘ মহুয়ার পালা ’   থেকে। আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে। এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে। এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে ...

কবি বিকাশ দাসের এক গুচ্ছ কবিতা সিঁড়ী এবং অন্যান্ন