সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভেজাল

kobita.info
bangla kobita ভেজাল
শিরোনাম ভেজাল
কবি আজিম হোসেন আকাশ

বাংলাদেশের ভেজাল খবর
শুনেন দিয়া মন,
ভেজাল ছাড়া নেইতো কিছু
বলেন গুণীজন।

পটল-পেঁপে, বেগুন-শশা
ভেজাল সব তরকারী,
বাঁচতে হলে খেতে হবে
জানি এসব দরকারী।

গোসাই বাবুর গরুর দুধে
মেশায় বেজায় পানি,
গরুর গোশে মহিষ মেশায়
আমরা সেটা জানি।

মতি মিয়ার মন্ডা-মিঠাই
আটা-ময়দায় ভরপুর,
ভেজাল ছাড়া খেতে হলে
যেতে হবে অচিনপুর।

আবুল মিয়ার আঙুর-আপেল
দেখতে বেশ তরতাজা,
মালটা-কলা, বাঙগি-পেঁপে
লাগে খেতে বেশ মজা।

হাটে ভেজাল ঘাটে ভেজাল
ভেজাল সারা দুনিয়া,
এসো মোরা ভেজাল ঠেকাই
জারি করি হুলিয়া।

 কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্যারিসের চিঠি

প্যারিসের চিঠি শিরোনাম  : প্যারিসের চিঠি   লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রিয় আকাশি, গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পয়েছি। খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা; ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি; কতদিন পর ঢাকার চিঠি; তাও তোমার লেখা, ভাবতে পারো আমার অবস্থা?? গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষারপাত। তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ। তোমার চিঠিতে পরিবর্তন আর বদলে যাওয়ার সংবাদ; তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন নিয়নের স্নিগধতা ছেড়ে নিয়েছে উতকট সোডিয়ামের সজ্জা, আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী, শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে, টি এস সি'র চত্বরে যেন উপ্তপ্ত বৈরুত। বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্বৃতি এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো; এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম কত সুদুর ইতিহাস- বালির বাধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর ... ইংলিস চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন; ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে, ক্ষিদে পেলেই ছিড়ে ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পুর্তি...

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা "আমার পরিচয়"

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা  "আমার পরিচয়" শিরোনাম     আমার পরিচয় আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে ,   হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে ,   কোথা থেকে তুমি এলে   ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে। এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে। আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে আমি তো এসেছি   ‘ কমলার দীঘি ’ ‘ মহুয়ার পালা ’   থেকে। আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে। এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে। এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে ...

ভাবনা

কবিতা: ভাবনা সঞ্জয় দাস তুমি আসবে বলে, এই জীবনের সমস্ত অপেক্ষা আমার; তা শুধু একান্তই আমার। এই পৃথিবীর সব ক'টা বসন্ত জড়ো করে,  কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুলদানিতে সাজিয়ে রেখেছি; তুমি আসবে বলে অপেক্ষা কেবল শুধুই আমার। ঐ আকাশ রঙের শাড়ি আর খোঁপায়  দুধ - সাদা রঙের শিউলি পড়ে, লাল টুকটুকে সূর্যটাকে দেখে; মিষ্টি মৃদু হাসি মেখে তুমি আসবে। জানি তুমি আসবে, তুমি আসবে, অপেক্ষা কেবল শুধুই আমার।  সৌরজগতের জীর্ণতাকে শূন্য করে, "এক স্বর্গ ভুবন" ভালোবাসায় পূর্ণ করে,  আমাকে নিবেদন করবে প্রেম। হবে আমারই অপেক্ষার অবসান। তুমি আসবে নাকি আমার সমস্ত ভাবনা শুধুই ভাবনা থেকে যাবে? কেবলই অপেক্ষা অপেক্ষায় রয়ে যাবে? শিরোনাম কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু ! নিচে দেখুন কমেন্ট বক্স